রানা মোল্লা খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় ১৩ বছরের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা এবং তা মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারন করায় আটক হওয়া শ্যাম প্রসাদ ও তার প্রেমিকা’র ফাঁসির দাবী করেছেন শিশুকণ্যাটির অসহায় পিতা।
সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করেন, ধর্ষণের ঘটনায় সারাদেশে সাম্প্রতিক সময়ের এক আলোচিত বিষয়। ধর্ষণের শিকার এই জেলার গুইমারা উপজেলা ডাক্তারটিলা এলাকার ১৩ বছরের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী কিংবা জেলা শহরের প্রতিবন্ধী মেয়েও বাদ পরেনি সমাজের ধর্ষক নামক কীট থেকে। তাই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। যার কারণে ঐ স্কুল ছাত্রী লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হওয়াসহ তার ভবিষ্যত জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাদীর অভিযোগ, ইয়াবা আসক্ত শাহিদা আক্তার ময়না, স্বামী প্রবাসী হওয়ার সুযোগে নিজের পরকীয়ার সঙ্গী ইয়াবা ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী শ্যাম প্রসাদ বণিক (দুটি কন্যা সন্তানের বাবা)’কে দিয়ে জোরপূর্বক নিজের ১৩ বছরের কন্যা সন্তানকে ধর্ষণ করায়। সাথে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারন করে। ধর্ষক শ্যাম প্রসাদ বণিক জবানবন্দীতে তার অপরাধ স্বীকার করে।
নিজেদের পরকিয়ার ভিডিও এবং ধর্ষণ ভিডিও চিত্র ভাইরাল হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ বাদী হয়ে জিআর ২৪৭/২০২০ (নারী ও শিশু ধর্ষণ আইন) ও জিআর ২৬৪/২০২০ (পর্নোগ্রাফি আইন) মামলা দায়ের করে। উভয় মামলাই চলমান। আসামী পলায়নের একমাস পর ধরা পড়লেও তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তার গাফিলাতির কারণে ধর্ষণে সহায়তাকারী শাহিদা আক্তার ময়না জামিনে আছে। অপর আসামীকেও জামিনে ছাড়িয়ে আনার জন্য তথাকথিত এক ধর্ষণ মামলার আসামী বিভিন্নভাবে তদবীর চালিয়ে যাচ্ছে।
বাদীর দাবী, শাহিদা আক্তার ময়না’কে পুনরায় গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে সি.আই.ডি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। যেখানে ধর্ষণের নিখুঁত প্রমাণ (ধর্ষণকারীর মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও) রয়েছে সেখানে কিভাবে আসামীরা ছাড়া পেয়ে যায়?
সারাদেশ যেখানে ধর্ষণের প্রতিবাদে মূখর, সেখানে গুইমারাবাসী ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় এবং কোন একটি মহলের নির্দেশে নিশ্চুপ। সারাদেশে ধর্ষণের এতো প্রতিবাদ হওয়া সত্ত্বেও ধর্ষণ থেমে নেই। এমনকি ধর্ষণকারীরাও থেমে নেই। এর প্রধান কারন ধর্ষণের পক্ষে নীতিভ্রষ্টহীন মানুষের হাত।
একজন ধর্ষিত শিশুর বাবা হিসেবে আপনাদের কাছে প্রশ্ন- এখানে যদি আমার মেয়ে না হয়ে আপনার মেয়ে হতো, তাহলে কি পারতেন এরকম ধর্ষণকারীর পক্ষ নিতে? আসলে আপনাদের মতো কিছু নীতি-নৈতিকতাহীন শিক্ষিত লোকই সমাজের এই অবস্থার জন্যে দায়ী। সমাজের অবক্ষয় ও দূর্বলতার জন্য কিছু দুশ্চরিত্র ব্যক্তিদের সহযোগীতার কারণে ধর্ষণ করেও ধর্ষণকারীরা ছাড়া পেয়ে যায়। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করা এবং শিশু ধর্ষণকারী শ্যাম প্রসাদ বণিক ও ধর্ষণে সহায়তাকারী প্রেমিকা’র ফাঁসি চাই।
+ There are no comments
Add yours