নিত্যপণ্যের বাজারে দেখা দিয়েছে সয়াবিন তেলের সংকট।
গত ১ নভেম্বর সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের মূল্য না বাড়লেও কমে গেছে সরবরাহ। ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
গত ৩ অক্টোবর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭ টাকা কমানো হয়।
বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৮ টাকা লিটার এবং ৫ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ৮৮০ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড তেলের দাম বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ার কারণে গত ১ নভেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবে সরকার সায় না দিলেও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রোববার (১২ নভেম্বর) এ বিষয়ে বৈঠক হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবে কাজ করছে ট্যারিফ কমিশন।
তারা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর এলসির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার ট্যারিফ কমিশনে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা তেলের পাশাপাশি চিনির দামের বিষয়েও আলোচনা হয়। এলসি খোলা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা ট্যারিফ কমিশনকে অবহিত করে।
+ There are no comments
Add yours