দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের কোনো সংকট নেই, বর্তমানে এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ।
আজ (১৪ নভেম্বর) বিকেলে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে। সেখানে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংকের আমানত তুলে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থ নেই বা তারল্য সংকট আছে। কিন্তু এটি সত্য নয়। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের কোনো সংকট নেই। ব্যাংক ব্যবস্থায় বর্তমানে এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে।
তারল্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট’ নীতি সর্বদা চালু রয়েছে। ব্যাংকের পরিদর্শন ও সুপারভিশন বিভাগ ব্যাপকভাবে তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছরে কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি। আশা করা যায় আগামীতেও বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না। ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। ব্যাংকে জনগণের সংরক্ষিত আমানত নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।
এলসি ওপেনিং প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কমার্শিয়াল এলসি ওপেনিং বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সঠিক নয়। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
দেখা গেছে- নভেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত এলসি ওপেন হয়েছে ১২৬৩ মিলিয়ন ডলারের। গত মাসের এ সময়ে যা ছিল ১২৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছরের অক্টোবরে এলসি ওপেন হয়েছে ৪৭৪৩ মিলিয়ন ডলারের।
বর্তমান ডলারের যে সমস্যা চলছে আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের চাহিদা ও সরবরাহে অনেকটাই ভারসাম্য অবস্থা ফিরে আসবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
+ There are no comments
Add yours