খবর ডেস্কঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব মুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা।
আজ (৩০) অক্টোবর কক্সবাজার শহরের বিহারগুলোতে বুদ্ধ পূজা, শিবলী পূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, কর্মদেশনা, ধ্যান অনুশীলন, প্রার্থনা, হাজারো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়ানো হয়েছে।
শনিবার (৩১অক্টোবর) পূজার সমাপনী। এদিন আকাশে উড়ানো হবে শত শত ফানুস। ০১ নভেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও রামু বাঁকখালী নদীতে জাহাজ ভাসানোর মধ্য দিয়ে এই উৎসবের সমাপনী হবে।
কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মাহাসাংদোগ্রী বৌদ্ধ বিহারে বিকাল থেকে রাখাইন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ নতুন পোশাক ও উন্নত মানের খাবার নিয়ে বিহারে গমন করেন। সেখানে সুখ-শান্তি ও মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি কামনায় প্রার্থনা করেন সবাই। শহরের পিটাকেট, মোহাজের পাড়া বৌদ্ধ বিহার, জাদিরাং বিহার ও রাখাইন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলো নজর কাড়া প্রায় ৫০ টি নান্দনিক প্যান্ডেল তৈরি করেছে। প্যান্ডেলগুলোর মূল আকর্ষণ বুদ্ধ। জমকালোভাবে সাজানো হয়েছে এসব প্যান্ডেল। বিহারগুলো ও সেজেছে নবরূপে। বর্ণিল আলোক সজ্জায় আলোকিত করা হয়েছে সর্বত্র।
প্রবারণাঘীরে বৌদ্ধ পল্লীর ঘরে ঘরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
এবার মা হাসিংদো গ্রীমন্দিরে প্যান্ডেল করেছে কক্সবাজার সিটি কলেজ বৌদ্ধ ছাত্র মৈত্রি, সিটি বয়েজ, রাখাইন একতা সংঘ, বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্ট কাউন্সিল, ফ্রিস্টাইল রিলেশন শীপ, রাজধানী ফ্রেন্ডস সার্কেল, রাখাইন যুব ইউনিটি, হ্যাংগিং গার্ডেন, কে, আরভিক্টোরিয়া, মাছ বাজার রাখাইন সমাজকল্যাণ পরিষদ, রাখাইন তরুণ সংঘ ও বৌদ্ধ মৈত্রি পরিষদ।
শহরের মোহাজের পাড়া, বাজারঘাটা, বৈদ্যঘোনা ও জাদিরাম বৌদ্ধ বিহার, মহেশ খালী, উখিয়া, চকরিয়া, রামু, পেকুয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত হচ্ছে।
কক্সবাজার রাখাইন একতা সংঘের সভাপতি উসেন থোয়েন (উসেনমিবাবু) বলেন, প্রবারণার মূল প্রতিপাদ্য আত্মশুদ্ধি, শুভ, সত্য ও সুন্দরকে বরণ করে অসত্য ও অসুন্দরকে বর্জন করা। আমি কামনা করি মানুষের অন্তর থেকে সব মলিনতা দূর করে অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী, প্রেম ও দয়া জাগ্রত হোক।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যথিংঅং বলেন, সিদ্ধার্থ যখন বোধি সত্ত্বরূ পেশ্রাবন্তী নগর থেকে গৃহত্যাগ করেন, তখন অনুমাদ্ধর্শী নদী তীরে অবস্থানকালে অধিষ্ঠান করে নিজ চুলকে কর্তন করে উপরে দিকে নিক্ষেপ করেন। সে চুলগুচ্ছ মহাতাবতিংসসর্গের প্যাগোডা হিসেবে স্থির আছে। তাই চুলা মনি নামে প্যাগোডা উদ্দেশ্যেই পূঁজা এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করতে ফানুস উড়ানো হয় বলে জানা গেছে। তথাগত ভগবান বুদ্ধের আড়াই হাজার বছর পূর্বে সময়ের তাবতিংসা স্বর্গের তিন মাস বর্ষাবাস করে কার্ত্তিকী পূর্ণিমাকে ঘিরে মানবকুলের মহা পৃথিবীতে অবতরণ করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। পিআইডি।
+ There are no comments
Add yours