জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ নভেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, রেজুলেশনটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবারের প্রস্তাবটিতে ১০৯টি দেশ সহ-পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।
প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর।
এর ফলে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করা, রাখাইন রাজ্যে স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করাসহ মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের সকল মানবাধিকার ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থায়ী মিশন বলছে, মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রস্তাবটিতে আঞ্চলিক দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলো যেমন আসিয়ান-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
বিশেষ করে সর্বসম্মতিক্রমে আসিয়ান গৃহীত পাঁচ দফা সুপারিশের দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরত্বারোপ করা হয়েছে এতে। চলমান বিচার ও দায়বদ্ধতা নিরুপণ প্রক্রিয়ার ওপর প্রস্তাবে সজাগ দৃষ্টি বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশনের তদন্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
স্থায়ী মিশন বলছে, জাতিসংঘের এ প্রস্তাটি রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি বিভিন্ন অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি প্রকাশের একটি অনন্য উদাহরণ। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে।
ফলে বিলম্বিত হচ্ছে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের লক্ষে রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করতে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours