জামালপুরে ৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৭৬.০৪ একর জমি জুড়ে গড়ে ওঠা অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ (২০ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে একযোগে দেশের ৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে উন্মুক্ত হয় জামালপুরের অর্থনৈতিক অঞ্চলও।
জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভেতরে অস্থায়ী একটি তাঁবু ঘরে এক ভার্চুয়ালি সংযোগের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন সিআইপি। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়, পুলিশ সুপার মো. নাছির উদ্দীন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশের গড় দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশ। তবে জামালপুর জেলার ২৩ লাখ ৮৪ হাজার জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫২.৫ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর ও দারিদ্র্যপীড়িত জামালপুরের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বা বেজার কাছ থেকে ইতোমধ্যেই ৮৮ একর জমি নিয়েছে ১১টি প্রতিষ্ঠান। এখানে বিসিক ও বিটাক ছাড়াও আরও ৯টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩টি প্রতিষ্ঠান কৃষিভিত্তিক কারখানা তৈরি করবে। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো মেডিকেল এবং সার্জিক্যাল আইটেম, ওভেন ব্যাগ শিল্প, পিভিসি ফ্লেক্স ব্যানার উৎপাদন শিল্প তৈরি করবে। এ প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার ৬৭৫ জনের কর্মসংস্থান হবে বলে বেজা সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া এখানে পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, মসলাজাত পণ্য, চামড়া, সিরামিকসহ উৎপাদিত হবে বিভিন্ন পণ্যও। পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে প্রত্যক্ষভাবে ৩২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
+ There are no comments
Add yours