
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী শিশু একাডেমিতে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আবার তা প্রত্যাহার ও ক্ষমা প্রার্থনা করলেন শিশু একাডেমিরই সাত কর্মচারি।
জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে “জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো: মনজুর কাদেরের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম প্রসঙ্গে” শীর্ষক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিশু বিকাশ কেন্দ্রের ইংরেজী কাম কম্পিউটার শিক্ষক রাকিবুল আলম, আয়া সাবিনা খাতুন, গার্ড শহিদুল ইসলাম, আয়া আফরোজা বেগম, বাবুর্চি মাসউদ রানা, শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ান কাম মিউজিয়াম কিপার মনজুরুল কাদির ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সাদিকুল ইসলাম।
বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক সোনার দেশ সহ দু’একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এদিকে অভিযোগ দায়েরের ১ দিন পর শিশু বিকাশ কেন্দ্রের রাকিবুল আলম-সহ পাঁচ কর্মচারী অভিযোগ প্রত্যাহার ও ক্ষমা প্রার্থনা করে আবেদন করেন জেলা প্রশাসকের কাছে। এর ৩ দিন পর শিশু একাডেমির মনজুরুল কাদির-সহ বাঁকি দুজনও আবেদনের মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদের বলেন, আমার এবং আমার প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায় ঈর্শান্বিত হয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কয়েকজন কর্মচারি আমার নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন, পরে তারা তাদের নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অভিযোগ প্রত্যাহার ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
রাজশাহী শিশু বিকাশ কেন্দ্রের রাকিবুল আলম বলেন, আমরা ভুল বুঝে স্যারের নামে অভিযোগ দিয়েছিলাম, পরবর্তীতে আমরা নিজেরাই সঠিক বিষয়টি জেনে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছি, এখন আমাদের মাঝে আর কোন ভুল বোঝাবুঝি নাই ।
শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ান কাম মিউজিয়াম কিপার মনজুরুল কাদির বলেন, অভিযোগ গুলো শিশু বিকাশ কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ; যেহেতু শিশু বিকাশ কেন্দ্রের কর্মচারিরা তাদের অভিযোগ তুলে নিয়েছেন, সেহেতু আমরাও তুলে নিয়েছি !
+ There are no comments
Add yours