নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দলটির বর্ষীয়ান নেতা অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম।
জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই ঘোষণা দেন। তবে একাধিক প্রার্থী থাকায় সাধারণ সম্পাদক পদে কাউকে ঘোষণা করা হয়নি। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেতাকর্মীরা যদি ঐক্যমত্যে না পৌঁছায়, তাহলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলছে
আজ (৫ ডিসেম্বর) মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
এসময় ‘খেলা হবে’ জনগণের পছন্দের স্লোগান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি আজীবন এ স্লোগান দিয়ে যাব, এ স্লোগান জনগণ খুবই পছন্দ করে। তাই আমি বলব- খেলা হবে, হবে খেলা। এ ডিসেম্বরে খেলা হবে, আগামী নির্বাচনে খেলা হবে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে, টাকা চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। কিন্তু এ স্লোগান ফখরুলসহ কয়েকজনের পছন্দ না। জনগণের পছন্দের এ স্লোগান আমি দিয়ে যাব, আমি বলে যাব- খেলা হবে।
সমাবেশে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। দল পরিচালনা করতে গিয়ে পরিবারকেও সময় দেওয়া যায় না। কত কুতুব যে এখন আওয়ামী লীগে আছে, ওদের ঠাণ্ডা করে দল চালানো খুবই কষ্টকর। আমি দায়িত্ব পেয়ে এখানে ৫০ জন লোকও পাইনি।
প্রসঙ্গত, জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর। ওই সম্মেলন হয়েছিল শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে। ওই সম্মেলনে প্রস্তাব ও সমর্থনের ভিত্তিতে এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমকে সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছিলেন সম্মেলনের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের।
পরবর্তী সময় কেন্দ্রে জমা দেওয়া প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবিত কমিটি বাতিল করে ৮৭ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। যাতে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়েন একরামুল করিম চৌধুরী। তাঁর ঠাঁই হয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে।
কমিটি ঘোষণার পর থেকে দীর্ঘসময় নানান ঘাত প্রতিঘাত, সহিংসতা ও হতাহতের পর সেই কমিটি আর পূর্ণাঙ্গ না করে দুই বছরের মাথায় ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমকে আহবায়ক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেলকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ৮৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
+ There are no comments
Add yours