টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইরানে হিজাববিরোধী বিক্ষোভে চলছে।
দেশটির রক্ষণশীল নেতৃত্ব এই আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভ এখনও চলছেই, আসছে প্রাণহানির তথ্যও। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইরানের সাবেক একজন প্রেসিডেন্ট।
আন্দোলনে সমর্থনের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের দাবিও মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তার এই মন্তব্যকে নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে। আজ (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি দেশটির সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের প্রশংসা করে প্রকাশ্যেই এক বিরল মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে ‘খুব দেরি হওয়ার আগে’ বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার ছাত্র দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইরানের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ওই তরুণী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তবে ভুক্তভোগীর পরিবার এই বিষয়ে বিরোধিতা করে বলেছে, তাকে নৈতিকতা পুলিশ মারধর করেছে।
বিবিসি বলছে, নারী-নেতৃত্বাধীন এই বিক্ষোভ ইরানের ৩১টি প্রদেশের ১৫০টিরও বেশি শহর এবং ১৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে এটিকে পশ্চিম এশিয়ার এই ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট রাইসির সরকারকে সরাসরি সম্বোধন করে তিনি বলেন: ‘বিক্ষোভকারীদের এই উপস্থিতিকে প্রশংসা করতে আমি কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিচ্ছি এবং এটিকে অন্যায়ভাবে মোকাবিলা না করে, তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে তাদের সাহায্যে শাসনের ভুল দিকগুলোকে চিহ্নিত করতে এবং সুশাসনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’
+ There are no comments
Add yours