বর্তমানে নয়পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
ছয়তলা বিশিষ্ট এ কার্যালয়টির নিচের কলাপসিবল গেটের সামনে বেশ কয়েকজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তারা কাওকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। ভেতরে থাকা নেতাকর্মীদের লাইন ধরে একে একে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কলাপসিবল গেটের সামনের ফুটপাাতে বসে আছেন। বিএনপি কার্যালয়ের গেটের সামনে সাদা পোশাকে পুলিশ এবং ডিএমপি লেখা জ্যাকেট পরিহিত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং নেতাকর্মীদের বের করে এনে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন।
সন্ধ্যা সাতটা ১৫ মিনিটের দিকে কার্যালয়ের ভেতর থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে বের করে এনে প্রিজন ভ্যানে তুলতে দেখা যায়। এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচের খালি জায়গায় অর্ধ রান্না করা খিচুড়ি পাওয়া যায়। পাশাপাশি মূল সড়কে কয়েক বস্তা চালসহ একটি কাভার্ড ভ্যান পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, সমাবেশ উপলক্ষে নেতাকর্মীরা চালগুলো নিয়ে এসেছে।
বর্তমানে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকশ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া দুটি প্রিজন ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএনপির কার্যালয় থেকে পশ্চিম দিকে কাকরাইল মোড় ও পূর্ব দিকে ফকিরাপুল মোড় বেরিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।
অন্যদিকে বিএনপির কার্যালয়ের আশপাশে লোকজনকে জড়ো হতে দেখলে লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, সেই সমাবেশ যেন শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারি তার জন্য সব ব্যবস্থা সরকারকেই নিতে হবে। আজকের ঘটনায় যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার সব দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
তার বক্তব্যের পর আরও অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
+ There are no comments
Add yours