আজ(৯ডিসেম্বর)নাজিরহাট হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে আজকের এই দিন নাজিরহাট হানাদার মুক্ত হয়। মূলতঃ ৯ ডিসেম্বর মুক্ত হলে ও হানাদাররা ওই দিন বিকেলে পুনরায় নাজিরহাট ফিরে এসে নির্বিচারে মানুষ হত্যাসহ ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ করে।
পরে মিত্রবাহিনীকে সংগে নিয়ে ফটিকছড়ি-হাটহাজারী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা সমান্বািত আক্রমণে হানাদারদের পরাভুত করে।মুক্তিযোদ্ধারা ১০ ডিসেম্বর সুবহেসাদিক হতে একটানা ৪দিন মরণ প্রাণ যুদ্ধ করে হানাদার বাহিনীদের পিছুহাটতে বাধ্য করে।
১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যাপর হতে হানাদাররা নাজিরহাট ত্যাগ করে।১৪ ডিসেম্বর নাজিরহাট পুরপুরি মুক্ত হয়। এখনো নাজিরহাট বাসষ্ট্যান্ডের ওরা ১১জন শহীদ স্মৃতি স্তম্বটি পাকহানাদারের বর্বতার সাক্ষী দাড়িঁয়ে আছ।
সে দিনের ঘটনার বিবরণীতে জানা গেছে ৮ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তান বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে সেই রাতেই নাজিরহাট ত্যাগ করে হাটহাজারীস্হ অদুদিয়া মাদ্রাসায় অবস্হান করে। ৯ডিসেম্বর সকালে নাজিরহাট হানাদার মুক্ত হয়।পরে তারা(হানাদাররা) আরোশক্তি বৃদ্ধি করে ৯ ডিসেম্বর বিকেলে তাদের দোসর রাজাকার,আল-সাসম বাহিনীর সহযোতায় পুনরায় নাজিরহাট আক্রমন করে। সে দিন ৩টি বাসে করে হানাদারবাহিনীরা নাজিরহাটে আসে।
মুলতঃ পাবলিক বাসকে সামনে দিয়ে পিছনে ২টি বাসে করে হানাদাররা কৌশলে নাজিরহাটে ঢুকে। সে সময় বাসষ্ট্যান্ডে মুক্তিযোদ্ধারা সাধারণ মানুষদের নিয়ে বিজয়ের উল্লাস করছিল।বাস ৩টি বাসষ্ট্যান্ডে প্রবেশ করেই গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ ১১জন শহীদ হয়।হামলার পাল্ঠা জবাব দেন এদেশের দামাল ছেলেরা(মুক্তিবাহিনী)।
একপর্যায়ে হানাদাররা প্রতিরোধের মুখে টিকতে নাপেরে মুক্তিযোদ্ধারা ফটিকছড়ির রোসাংগিরি ইউনিয়নের মেটোপথ দিয়ে অন্যত্র সরেপড়ে।
ফটিকছড়ি উপজেলা-হাটহাজারী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীকে সাথে নিয়ে টানা ৪দিন আক্রমন করে।১৩ ডিসেম্বরে সন্ধ্যার পর হতে হানাদাররা নাজিরহাট ত্যাগ করে।১৪ডিসেম্বর হতে নাজিরহাট পূর্ণাঙ্গ হানাদার মুক্ত হয়।
৯ ডিসেম্বর নাজিরহাট বাসষ্ট্যান্ড শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন—
১)চট্রগ্রামের শহীদ সিপাহী মানিক মিয়া, ২) শহীদ ফোরুক আহমদ, ৩) তোফাইল হোসেন, ৪) খুলনার সিপাহী অলি আহমদ, ৫) কুমিল্লার শহীদ সিপাহী নুরুল ইসলাম, ৬) শহীদ আহাদ, ৭) স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে ফরহাদাবাদ গ্রামের শহীদ হাসিনা খাতুন, ৮) শহীদ আবুল মিয়া, ৯) শহীদ মুজিবুল হক, ১০) মুহাম্মদ নুরুল আবছার ও ১১) অঞ্জাত এক জন।
স্থানীয়দের সহযোগীতায় ঘটানাস্হলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সমাহিতকরা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে চট্রগ্রামজেলা পরিষদ ১লাখ ৫০হাজার টাকা ব্যায় করে নাজিরহাটস্হ ওরা জন স্মতি স্তম্বটি পুনঃষ্কার করেন।প্রতিটি বছর স্বাধিনতা যুদ্ধাকালিন সময়ের বিশেষদিন গুলোতে ওরা ১১জন স্মৃতি স্তম্বটিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সকল বয়সের নারি-পুরুষরা।
+ There are no comments
Add yours