
আজিজুল হক চৌধুরীঃ
চট্টগ্রামের শহরতলী উপজেলা বোয়ালখালীতে অভ্যন্তরীন সড়কগুলোর বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এর জন্য ভারী যানবাহন চলাচল বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে স্থানীয় জনগণ।
সংস্কার কাজের জন্য উপজেলার কানুনগোপাড়া – হাওলা ডিসি সড়কে যানচলাচল বন্ধ রাখায় গ্রামীণ সড়কগুলোতে বেড়ে গিয়েছে যান চলাচলের চাপ। ফলে গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারী ও যাত্রীসাধারণ।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল কানুনগোপাড়া হাওলা ডিসি সড়কের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন খান বাদল।
ইতমধ্যে ১ বছর ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি সংস্কার কাজ। সংস্কার কাজের জন্য প্রধান সড়ক বন্ধ থাকায় গ্রামীণ সড়কগুলো দিয়ে চলাচল করছে ভারী যানবাহন। এতে সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাওলা ডিসি সড়কের কানুনগোপাড়া থেকে বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত পাথর আর বালির মিশ্রণ দিয়ে ভরাট করে উচু ও প্রশস্থ করা হয়েছে। চলমান রয়েছে উপজেলা সদর থেকে গোমদণ্ডী ফুলতল পর্যন্ত অংশের কাজ। এছাড়া অলি বেকারী থেকে খালে রিটার্নিং ওয়ালের নির্মাণ কাজও বেশি দূর এগোয়নি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মইজ্জ্যারটেক-কানুনগোপাড়া-উদরবন্যা সড়ক নির্মাণকাজে প্রকল্পিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে কানুনগোপাড়া হাওলা ডিসি সড়কের গোমদণ্ডী ফুলতল হতে সড়ক সংস্কার, পুনঃনির্মাণ, সড়ক প্রস্থে ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুট প্রশস্থকরণ ও খালের ভাঙনরোধে ১ কিলোমিটার রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পেয়েছে ৩ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা প্রকৌশলী ম.বিল্লাল হোসেন বলেন, সওজের সংস্কার কাজের জন্য প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন অভ্যন্তরীন সড়কগুলোতে ভারী যানবাহন চলাচল ও ওয়াসার পাইপ বসানোর কারণে ক্ষত- বিক্ষত ও খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। এতে আপাত দৃষ্টিতে ১৫ কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার প্রধান সড়ক সংস্কার ও ওয়াসার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্তভাবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে সংস্কারের জন্য তালিকা তৈরির নির্দেশনা রয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ (দোহাজারী) নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, মইজ্জ্যারটেক-কানুনগোপাড়া-উদরবন্যা সড়ক নির্মাণকাজের প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে মইজ্জ্যারটেক থেকে পাঁচুরিয়া পর্যন্ত কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বোয়ালখালীর শ্রীপুর বুড়া মসজিদ থেকে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। বর্ষার কারণে খালের রিটার্নিং ওয়ালের কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে, তা দ্রুত সময়ে শুরু করা হবে। এ সংস্কার কাজ আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ে সড়কের কাজ শেষ হবে।
+ There are no comments
Add yours