নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুরে নানা আয়োজনে রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে।
আজ (৯ ডিসেম্বর) মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে রোকেয়ার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা।
সকালে রোকেয়ার বাস্তুভিটায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরাসহ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ হতে রোকেয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে রোকেয়া মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে পায়রাবন্দে সকাল সাড়ে ১০টায় ছিল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। বাদ জুমা রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র সংলগ্ন মসজিদে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া মোনাজাত করা হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্বেচ্ছায় রক্তদান ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব।
বিকেল ৪টায় আলোচনা সভা শেষে পরিবেশন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী এই আয়োজনের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোখলেছুর রহমান আকন্দ, রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার।
এতে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ্ আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন মিঠাপুকুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা।
+ There are no comments
Add yours