তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের ভেতরে বোমা রেখে সামনের রাস্তায় সমাবেশের জন্য এতদিন গোঁ ধরে থেকে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে, ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয় বরং সন্ত্রাসী কার্যকলাপই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
আজ (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের পর দলটির কার্যালয় থেকে ১৫টি তাজা বোমা, দুই লাখ পানির বোতল, ১৬০ বস্তা চাল, রান্না করা খিচুড়ি, হাড়ি-পাতিল এবং দুই লাখ নগদ টাকা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
বিশেষ করে পুলিশের ওপর যখন হামলা হয়, রাস্তাঘাট বন্ধ করে বেআইনিভাবে যখন সমাবেশ করা হয়, তখন ব্যবস্থাগ্রহণ করতে সরকার বাধ্য হয়েছে। আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে বারবার বলেছি, আপনারা যাতে বড় সমাবেশ করতে পারেন সেজন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করবে। কিন্তু না, তারা দেশে বিশৃঙ্খলা করার জন্য নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে। এটি তো সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তারের প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা সবাই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে পাঁচশ’ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ হাজার মানুষকে আগুনে দগ্ধ করা, সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পোড়ানো ও লঞ্চ-ট্রেন পোড়ানোর হুকুমদাতা হিসেবে আসামি। তারা আদালতকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন, হাজিরা পর্যন্ত দেননি। গত ৭ তারিখ নয়াপল্টনে যে ঘটনা ঘটলো, পুলিশের ওপর হামলা করা হলো, বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ১৫টি তাজা বোমা পাওয়া গেলো। বিভিন্ন সময় ঢাকা-চট্রগ্রামসহ সারা দেশে যে গাড়িতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর হয়েছে, এগুলোর হুকুমদাতাও মির্জা ফখরুল সাহেব ও মির্জা আব্বাস। আর তাজা বোমা নিয়ে যখন কেউ পার্টি অফিসে বসে থাকে, তখন যারা বসা ছিল সবাই তো অপরাধী। তারা তাজা বোমা নিয়ে কেন বসে ছিলেন? এসব কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
কিছু গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম স্বাধীন বলে একপেশে সংবাদ পরিবেশন করা তাদের কাজ নয়। পক্ষপাতদুষ্টতা বা রাজনীতি করা কোনো গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেই সমীচীন নয়।
+ There are no comments
Add yours