মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, সংঘাত কবলিত এলাকায় যৌন সহিংসতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৭০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। দুই দেশের ভিন্ন ভিন্ন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় চীন, রাশিয়া, মিয়ানমার ও পাকিস্তানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম থাকলেও বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম নেই।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে বৈশ্বিক অংশীদারদের সাথে সমন্বয় করে শুক্রবার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী ওই দুই দেশ।
এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বিশ্বের নয়টি দেশের ৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এ ৯টি দেশ হলো— উত্তর কোরিয়া, এল সালভাদর, গুয়েতেমালা, গিনি, ইরান, মালি, ফিলিপাইন, রাশিয়া ও চীন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে দুর্নীতিবাজ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ২০২২ সাল জুড়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। এর অংশ হিসেবে আলবেনিয়া, বসনিয়া, মন্তেনেগ্রো, কসোভো, উত্তর মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া, বেলারুশ, লাইবেরিয়া, গুয়েতেমালা, রাশিয়া, মিয়ানমার এবং ইরানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বছরব্যাপী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এখন বছরের শেষ দিকে এসে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় জায়গা পেল আরও ৪০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম। এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় উত্তর কোরিয়া সংশ্লিষ্ট ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ফুনসাগা পিটিই লিমিটেডের পরিচালক দীপক যাদবের নাম রয়েছে।
অন্যদিকে, একই দিনে বিভিন্ন দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত ৩০ রাজনীতিক, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং বিশ্বজুড়ে সংঘাত-সংশ্লিষ্ট যৌন সহিংসতার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিরোধীদল বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কুমিল্লায় এক সমাবেশে পুলিশের উদ্দেশে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছিলেন, ‘র্যাব আমাদের ভাইদের গুলি করছে। তাদের আমেরিকা নিষিদ্ধ করেছে। আপনারা গুলি করবেন না, তাহলে আপনাদেরও নিষিদ্ধ করবে।’
গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপি ও অন্যান্যদের এমন আশঙ্কা উড়িয়ে মার্কিন প্রশাসন নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেবে না বলে জানিয়ে দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
ওইদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি মার্কিন প্রশাসন নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে না। আমরা মনে করি সাম্প্রতিক কোনো নিষেধাজ্ঞা আসবে না। কারণ আমরা এনগেজমেন্ট বাড়িয়েছি। যে তথ্য তারা (যুক্তরাষ্ট্র) চাচ্ছিল, সেটা যতটুকু সম্ভব আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা অব্যাহতভাবে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে এনগেজমেন্টে আছি, আর কোনো নিষেধাজ্ঞা আশা করছি না।
+ There are no comments
Add yours