কুড়িগ্রামের শিশু মারুফা জাহান মাইশার (৫) হাতের আঙুলের অপারেশন করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দাফনের ১২ দিন পর মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা গ্রামে পারিবারিক কবস্থান থেকে শিশুটির মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকার রূপনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন দাশ, কুড়িগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রেদওয়ান ইসলাম, স্থানীয় কমিশনার জমসেদ আলী টুংকু ও মাইশার পরিবারসহ এলাকাবাসী।
মাইশার বাবা মোজাফফর হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ গোসলের সময় দেখতে পাই পেটে ২০টি সেলাই। আমি নিশ্চিত ওরা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি মামলা করেছি।
নয়ন দাশ বলেন, আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পর ময়নাতদন্তের স্বার্থে কবর থেকে মাইশার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, মাত্র ৯ মাস বয়সে চুলার আগুনে মাইশার ডান হাতের আঙুল পুড়ে কুঁকড়ে যায়। ৩০ নভেম্বর ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে শিশুটির আগুনে পোড়া হাতের আঙুলের অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যু হয়। পরে শিশুটির মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন তার বাবা-মা।
+ There are no comments
Add yours