শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমাদের এখন কর্মমুখী শিক্ষা প্রয়োজন। একই সাথে দেশপ্রেমিক ও ইতিহাস বোধসম্পন্ন সত্যিকারের বাঙালি হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষকরা জাতির বাতিঘর, তাদেরকেই এক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।
আজ (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে এক আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
উপমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞের সূচনা করেছিল, একেবারে শেষ দিকে এসে পরাজয়ের আগ-মুহূর্তে তা রূপ নেয় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে। পাকিস্তানি সামরিক জান্তা তখন তাদের এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় বেছে বেছে হত্যা করেছিল জাতির অগ্রণী শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার প্রথিতযশা ব্যক্তিদের।
এসব হত্যার কারণ স্পষ্ট, পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা চেয়েছিল স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়া দেশটিকে মেধায়-মননে পঙ্গু করে দিতে।
অনুষ্ঠানে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
+ There are no comments
Add yours