নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিদেশি মিশনগুলোতে সরকারের চিঠি পাঠানোর কারণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে উইমেন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (উব্লিউজেএনবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে বড় কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা সবাইকে জানিয়ে রাখি। এটা নতুন কিছু নয়। স্বাভাবিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। আমরা কূটনীতিকদের জানিয়েছি, কারণ বিএনপি ১৯ তারিখের পর থেকে নানা সময়ে বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে দেনদরবার করছেন। বিএনপির দেনদরবার ঠেকাতেই তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে সরকার সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলোতে একটি চিঠি পাঠায়।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের ব্রিফিং করতে চায় না সরকার। তাই মিশনগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে তথ্য জানিয়ে রাখা হয়েছে।
মিশনগুলোতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৭ ডিসেম্বর দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। ওই দিন তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল না। এমনকি পুলিশের অনুমতিও তারা নেয়নি। অবরোধের কারণে নয়াপল্টন এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় পুলিশ তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে।
কিন্তু বিএনপির বিক্ষোভকারীরা তা অগ্রাহ্য করে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের পাশাপাশি যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে। তাদের হামলায় পুলিশের ৪৯ জন সদস্য আহত হন, এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours