সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন সহকারী শিক্ষককে আগামী ২২ জানুয়ারি নিয়োগ ও পদায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। আগামী বছর আবার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে সেটি বিভাগভিত্তিক ক্লাস্টারভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের জেলা সিভিল সার্জন সদন ও ডোপ টেস্ট রিপোর্ট ৩১ ডিসেম্বর। নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি করা হবে ৩ জানুয়ারি। নির্বাচিত কোনো প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি না হলে কারণ ও মতামতসহ তালিকা প্রেরণ ৪ জানুয়ারি। পুলিশ ভেরিফিকেশন ৮ জানুয়ারি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান ২২ জানুয়ারি।
ক্লাস্টার ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় উপজেলা ভিত্তিক। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় দুই বছর সময় লাগে। এ সময় কমিয়ে নিতে বিভাগ ভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তাতে চার মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর । এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা বাড়িয়ে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।
+ There are no comments
Add yours