আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হবে ইংরেজি নতুন বর্ষ ২০২৩ সালের প্রথম দিন।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজধানী ঢাকার আকাশে দেখা মিলবে হাজার হাজার জ্বলন্ত ফানুস। চারদিক কাঁপিয়ে ফুটবে বাজি, আতশবাজির আলোয় ঝলমল হবে সর্বত্র। বাজির শব্দ আর আলো সবাইকে জানান দেবে নতুন ইংরেজি বছর এসে গেছে।
জ্বলন্ত ফানুস ও আতশবাজি ফোটানোর কারণে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকার অন্তত ১০টি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঢাকার বাইরে এ সংখ্যা প্রায় ১৯০টি। এসব ঘটনায় এদিকে যেমন মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়, অন্যদিকে আগুনের আতঙ্কে ম্লান হয়ে যায় নববর্ষ উদযাপন।
এবার এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নতুন বর্ষবরণ উদযাপনের কয়েক দিন আগে থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে সংস্থাটি। বিশেষ এই রাতে সব ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা ফোটানো বা ফানুস উড়ানো বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীটি।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর যেসব এলাকায় ফানুস বিক্রি হয় সেসব জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশ। স্থানীয় ফানুস বিক্রেতাদের গতবারের অগ্নিদুর্ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফানুস বিক্রি না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, নির্দিষ্ট থানাধীন এলাকায় যেন কোনোভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ফানুস বিক্রি ও উড়ানো না হয়।
যদি কেউ ফানুস উড়ায় বা আতশবাজি ফোটায় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে— জানায় ডিএমপি। এ বিষয়ে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক মিন্টু রোডে অবস্থিত মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে।
+ There are no comments
Add yours