বিক্ষোভকারীরদের নির্যাতন এবং জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় শরিয়া বিরোধী এবং অনৈসলামিক বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের শীর্ষ সুন্নি নেতা মৌলভী আব্দুলহামিদ ইসমাইলজাহি।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মারা যান কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনী। পোশাক পরিধানের বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাহসার মৃত্যুর পর পুরো ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ থামার পর এতে অংশগ্রহণকারীদের আটক করছে ইরানের আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। এরমধ্যে বিক্ষোভের দায়ে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে।
এসব দমন-পীড়ন চলায় এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন শিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানের শীর্ষ সুন্নি নেতা মৌলভী আব্দুলহামিদ।
শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে তিনি বলেছেন, ‘যদি কেউ অভিযোগ স্বীকার না করে তাহলে তারা নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করে। ইসলামী শরিয়া এবং আমাদের সংবিধানে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির কোনো স্থান নেই।’
গত কয়েকদিনে সিস্তান-বালুচিস্তানের জাহেদানে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। এসব ধরপাকড়ের কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মৌলভী আব্দুলহামিদ।
ইস্টাগ্রামে ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন ফলোয়ার থাকা নবাব ইব্রাহিমিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিচার বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। শুক্রবার তার আকাউন্ট খুজেঁ পাওয়া যায়নি।
মেহেদি বেইক মধ্যপন্থী পত্রিকা ইতেমাদের রাজনৈতিক ডেস্কের প্রধান ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাকে নিরাপত্তা এজেন্টরা আটক করেছে। টুইটারে তার স্ত্রী একথা জানান। কর্মকর্তারা এখনো বেইককে আটকের কারণ ঘোষণা করতে পারেনি। বেইক গ্রেপ্তার হওয়া বিক্ষোভকারীদের আত্মীয়দের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট টুইটারে বলেছে, ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা অন্তত ৮৪ জন সাংবাদিকের নাম নথিভুক্ত করেছে যারা ইরানে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৬ জনকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours