চোরাই পথে ব্রাজিল থেকে চিনি এবং তানজানিয়া থেকে আনা ভোজ্যতেল কম দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
বিশ্বাস অর্জনের জন্য সেনা এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা পরিচয় দিত তারা। আর বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ত সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিসে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগের পর আটক করা হয় চক্রের ছয় সদস্যকে। এ দলের বিরুদ্ধে আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা হয়েছিল। এবার প্রতারণার অভিযোগে আরও ৩টি মামলা করা হয়েছে।
আজ (৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর একটি হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় টানা ৩৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের মূল হোতা শেখ জাহাঙ্গীর কবির (৪৬), মোহাম্মদ আলীসহ (৫১) তাদের সহযোগী মো. ওয়াসিম আহমেদ (৩৭), মো. নাজমুল হুদা খান নাজমুল (৪৬), মো. রাজিবুল হক বাবু (৩৮) ও মো. শাহজালালকে (৫৩) আটক করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতারক এক যুবক ব্যবসায়ী মহলে শীর্ষ এক সেনা কর্মকর্তার ভাই হিসেবেই পরিচিত। বাকিদের মধ্যে কেউ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আবার কেউ চিনি এবং তেল আমদানিকারক।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘একজনকে বলেছে, এ বন্দরে তিনটি জাহাজে এক লাখ মেট্রিক টন চিনি আছে তার। এসব চিনি তাদের দেবে বলে তাদের কাছ থেকে সিকিউরিটি মানি নেয় এবং একটা চুক্তি করে। ওই সিকিউরিটি মানি নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তারা ভুক্তভোগীদের বলেছে, ব্রাজিল থেকে আসা তিনটি জাহাজে এক লাখ মেট্রিক টন টন চিনি আছে, আপনারা চাইলে সেম্পল দেখতে পারেন। এরপর বাজার থেকে তেল-চিনি কিনে সেসব ছোট ছোট প্যাকেট করে ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠিয়েছে।’
ভুক্তভোগীরা বলছে, ‘আমাদের বলল, চিনির গোডাউনে যদি যেতে চান, ৫ লাখ টাকা আগে দিতে হবে। এরপর আমাদের সঙ্গে চিনি দেয়ার চুক্তি করে। পরে আর যোগাযোগ নেই। সমবায় সমিতি থেকে ১০ কোটি টাকার লোন পাইয়ে দেবে বলে তার কাছ থেকে ৬২ লাখ টাকা নিয়েছে।’
+ There are no comments
Add yours