ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের খসড়া তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন প্রায় এক কোটি নাগরিক। আগামীকাল (১৫ জানুয়ারি) ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে এক কোটির মতো নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ জন নাগরিক নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। এতে হিজড়া ২৫১ জন, মহিলা ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩ জন এবং পুরুষ ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭১৬ জন রয়েছেন।
গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। এতে আগেরবারের মতো তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি।
নিবন্ধন সম্পন্নকারীদের মধ্যে যার বয়স যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তখন তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা আগেরবারের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।
দাবি, আপত্তি ও সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি উপজেলা/থানার ভোটার এলাকার জন্য ক্ষেত্র বিশেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সিটি কর্পোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কিছু বিশেষ এলাকার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)-কে সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ (রিভাইজিং অথরিটি) নিয়োগ করা হয়েছে।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জানুয়ারি, যা বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হবে, যেন কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় থাকছে ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদ করা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২ মার্চ।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে পাঁচ বার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।
+ There are no comments
Add yours