এম হেলাল উদ্দিন নিরব (পটিয়া,চট্টগ্রাম)
দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার পটিয়ায় বৃহত্তম গরুর বাজার বসে পটিয়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। আর বেশি দিন নেই পবিত্র ঈদুল আযহার। কিন্ত এরমধ্যে পশুর বাজার ইজারার তোরজোর নেই প্রশাসনের।
যার ফলে আগাম পশু বিক্রি নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রশাসন পশুর বাজার নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে তারা প্রচুর ক্ষতিতে পড়বে।
এদিকে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা বলেছেন, সহসা বাজার ইজারা দেয়া হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাজারে আসতে হবে।
পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বছরও গরুর বাজার ইজারা বন্ধ থাকায় নতুন থানা হাটের পাশাপাশি উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের অলিরহাটের গরুর বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার আনাগোনা তেমন একটা চোখে পরছে না।
প্রতি বছর চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহা সড়কের ভাইয়ের দীঘির পাড় হতে অলির হাট এলাকা পর্যন্ত গরুর বাজার বসানো হয়। বাজারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরুর ব্যবসায়িরা গরু ও মহিষ বিক্রির জন্য আনার সাহস পাচ্ছেনা। পবিত্র ঈদুল আযহা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মনসা পূজা উপলক্ষে এবার গরু ও ছাগলের বাজারের অবস্থা শোচনীয়।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের পটিয়ার ঐতিহ্যবাহী গরুর বাজার ছিল পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ। খেলার মাঠ নষ্ট হওয়ার ইস্যুতে গত বছর থেকে সেখানে গরুর বাজার বন্ধ রয়েছে। গত বছরের ন্যায়এ বছরও পটিয়া-আনোয়ারা রোড ও বৈলতলী রোডে গরুর বাজার বসবে বলে পশু ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন।রাস্তার উপর গরু কেনাবেচার কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতারা নানাভাবে দুর্ভোগে পড়েন।
কোরবানির পশু রাস্তায় বিক্রির কারণে পৌরসদরের কিছু অংশ, ছনহরা ও ভাটিখাইন এলাকার লোকজনের চলাচল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে পটিয়া উপজেলায় অলিরহাট বাজারে গরু, মহিষ ও ছাগল এবার বেশি আসার কথা কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূল নয়। পটিয়ার শান্তির হাট মনসার টেক, আমজুর হাট, কমল মুন্সির হাট গরু, মহিষ ও ছাগলের বাজারের চিত্রও একই।
চট্টগ্রামসহ চারটি জেলায় কোরবানি পশুর হাট না বসিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেচাকেনার সুপারিশ করেছে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এরপ্রেক্ষিতে স্থায়ী পশুর হাটের বাদে আর কোন পশুর হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোরবানি পশু বিক্রিরও উদ্যোগ নিয়েছে এ সেবা সংস্থাটি।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা আরো বলেন,পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পটিয়ার গবাদি পশুর হাটের আয়োজনকারীদের নিয়ে (১৬ জুলাই) বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাটে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সকল বিধি-নিষেধ মেনে হাট পরিচালনার জন্য সকলের সহযোগীতাও চেয়েছেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours