শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ আইন ২০২০ অনুযায়ী সকল টিআইএন ধারী নাগরিকদেরর জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সমৃদ্ধির সোনালী দিন, আনতে হলে আয়কর দিন / স্বাস্থ্য বিধি চলবো মেনে, কর দেবো জনে জনে / মুজিব শতবর্ষের অঙ্গীকার, কর প্রদানের সুফলে সবাই হব অংশীদার…এ রকমই সব সুন্দর স্লোগানকে ধারণ করে কর অঞ্চল রাজশাহীতে এ বছর আয়কর মেলা না হলেও মেলার পরিবেশে আয়কর রিটার্ন গ্রহন, তথ্য ও সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
কর অঞ্চল রাজশাহী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়কর তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে করদাতার আয়কর সংক্রান্ত সকল তথ্য ও সেবা প্রদান করছে। কর যোগ্য আয় থাকুক বা না থাকুক, কারো নামে যদি টিআইএন থাকে তাহলে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আর যদি তার আয় করযোগ্য হয় তাহলে রিটার্নের সাথে করও দিতে হবে। সার্বজনীন স্ব-নির্ধারনী পদ্ধতিতে পহেলা জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দাখিলের সুযোগ রয়েছে অর্থাৎ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আপনাকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। সময়মত রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে জরিমানা সহ আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহন করতে পারে আয়কর কর্তৃপক্ষ। একজন ব্যক্তির জন্য করমুক্ত আয় সীমা কত ? উপার্জনশীল পুরুষ বার্ষিক ৩ লক্ষ টাকা, উপার্জনশীল নারী ও ৬৫ বছর বা তদুর্ধ বয়সের করদাতা ব্যক্তি ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, প্রতিবন্ধী ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, গেজেট ভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
২০২০-২১ কর বর্ষে কর দাতাদের বিশেষ সুবিধা : ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন এবং গাড়ীর ফিটনেস সনদ নবায়নে প্রদত্ত কর জরিমানা নয় বরং অগ্রীম কর হিসেবে বিবেচ্য এবং এই কর রিটার্ন দাখিলের সময় অপ্রদর্শিত করের সাথে সমন্বয় যোগ্য। মাত্র ১০% কর প্রদানের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ, সব ধরনের ব্যাংক ডিপোজিট এবং সঞ্চয় পত্রের বিনিয়োগ প্রদর্শনের অপূর্ব সুযোগ রয়েছে।
কর অঞ্চল রাজশাহীর কমিশনার মুহাম্মদ মফিজ উল্ল্যা বলেন, কর অঞ্চল রাজশাহীর অধিক্ষেত্রাধীন পাঁচটি জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা ও রাজশাহীতে একযোগে তথ্য ও সেবা প্রদান এবং রিটার্ন গ্রহন করা হচ্ছে। আপনি নিজে কর প্রদান করুন, অন্যকেও কর প্রদানে উৎসাহিত করুন। মনে রাখবেন, কর প্রদানে আপনার সম্পদ সুরক্ষিত হয়।
+ There are no comments
Add yours