পূর্বাচল রয়েল সিটি ডেভোলাপার্স অফিসে দুর্ধর্ষ চুরি

Estimated read time 1 min read
Ad1

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের প্লটের নির্মাণ সামগ্রী থেকে শুরু করে লোহার ফটক চুরির হিড়িক পড়েছে। দিনে-দুপুরেও এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে প্রকল্পের ৩০ সেক্টরে ২৫টি চোর সিন্ডিকেট।

এতে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন পেয়েও কাজ করাতে পারছেন না প্লট মালিকরা। এছাড়াও প্লটের সীমানা প্রাচীর ও ফটক ভেঙে চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন পূর্বাচলের ৩০ সেক্টরের প্লট মালিকরা।

এদিকে পূর্বাচল রয়েল সিটি ডেভোলাপার্স লিমিটেডের ১০নং সেক্টরে ৩০২/এ রোর্ডের ৫নং প্লটের একটি অফিস কক্ষের চালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে চোর চক্র। তারা কক্ষে থাকা ৪২ ইঞ্চি এলইডি স্মার্ট টিভি, একটি ল্যাপ্টপ, জমি কেনার নগদ ৫০ লাখ টাকা, টেলিফোন সেট, ৩ হাজার ইউএস ডলার, ইন্ডিয়ান ১ হাজার রুপি, ৫ কাঠা ও ৩ কাঠা প্লটের মূল কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে।

এছাড়াও বেলদি মৌজার ৫টি মূল দলিল ও আইএফআইসি ব্যাংকের ৭টি চেকের পাতা চক্রটি নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পূর্বাচল রয়েল সিটি ডেভেলাপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রূপগঞ্জের ইছাপুরা এলাকার মসলিস মিয়ার ছেলে আকবর হোসেন বাদি হয়ে গতকাল রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের এ পর্যন্ত ৯০ ভাগ প্লট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এসব প্লটে বাড়ি করার অনুমোদন পেয়েছেন ৪০ ভাগ প্লট মালিক। এদিকে প্লট বুঝে পাওয়ার পর দখল রাখতে অস্থায়ী বা স্থায়ী সীমানা প্রাচীর করেছেন অনেকে। কেউ কেউ বানিয়েছেন অস্থায়ী ঘর। কিন্তু এসব অস্থায়ী ঘরে বা প্রাচীর দেখাশুনার জন্য অনেকেই রাখেননি কোন নৈশ প্রহরী। ফলে এলাকার ছিঁচকে থেকে শুরু করে চোর সিন্ডিকেট চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে প্লটের নির্মাণ সামগ্রী।

এমনকি ২০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা মূল্যের ফটকও। তবে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ বলছে, অভিযোগ না পাওয়ায় চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। এমন চিত্র পূর্বাচল জুড়েই। পূর্বাচলের ইছাপুরা এলাকার বাসিন্দা আকবর হোসেন বলেন, চোরচক্র এমনই শক্তিশালী যে, তারা র‌্যাব, পুলিশ ও সরকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্লটের ফটক চুরি করে নিয়ে গেছে।

আমার পূর্বাচল রয়েল সিটি ডেভেলাপার্স অফিসের নগদ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকা মূল্যের আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। পূর্বাচল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই শাওন জানান, ৩০ সেক্টরের মধ্যে রূপগঞ্জ অংশে ২৩টি সেক্টর রয়েছে। ওই ২৩টি সেক্টরের নিরাপত্তায় কেবল ২ জন এসআই, একজন এএসআই ও ৫ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া আছে। ফলে এই ৮ জনকেই নিরাপত্তার দেখভাল করতে হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, পূর্বাচল এলাকায় ঘোষিত থানা বাস্তবায়ন হলে এসব সমস্যা দূর হবে। তবে থানা পুলিশের নিয়োজিত লোকবল দিয়ে নিরাপত্তাসেবা দেয়া হচ্ছে।

মো: রাকিবুল ইসলাম রাসেল, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours