নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

Estimated read time 1 min read
Ad1

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা গার্মেন্টস ব্যবসা করেন তাদের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে, নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের পোশাক ব্যবহার করা হয়। নতুন ওই বাজার আমরা খুঁজে বের করতে পারি। ইতোমধ্যে কিছু পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন ও ৬টি টেক্সটাইল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্ত্র মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ খাতকে সুসংহত ও গতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আমাদের সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী, আমরা বস্ত্রশিল্প খাতকে নিরাপদ, শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম করে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য মোট রপ্তানিতে সিংহভাগ অবদান রেখে রপ্তানি আয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছিল। আশির দশকের শেষার্ধে পাট ও পাটজাত পণ্যের আয়কে অতিক্রম করে পোশাক শিল্প রপ্তানি আয়ে প্রথম স্থানে চলে আসে। ১৯৮১-৮২ সালে মোট রপ্তানি আয়ে এই খাতের অবদান ছিল অতি সামান্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৪৫.৭০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, যা ২০২১ সালের তুলনায় ২৭.৬৪ শতাংশ বেশি। ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) পোশাক রপ্তানি ১৫.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পোশাক খাত থেকে ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের পণ্য রপ্তানি করা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই বাংলাদেশ ২০২২ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। করোনা মহামারির ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত রাখতে সরকারের পোশাক খাতে ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কটেও এ খাত এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

বৈশ্বিক নানা কারণে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নানা উপকরণের দাম বাড়ছে। এতে করে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। তবে, কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এসব খাতে ব্যয় সাশ্রয় করা সম্ভব। পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতি ইউনিট উৎপাদন খরচ সমন্বয় করতে হবে।

বস্ত্রখাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিপূর্ণ সুবিধাদি গ্রহণ এবং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ জনবল সৃষ্টি করার জন্য আমাদের সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বস্ত্র অধিদপ্তরে দ্রুততর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রবর্তন করা হয়েছে এবং ই-নথির মাধ্যমে বস্ত্রশিল্পের উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা এখন সহজে ও স্বল্প সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় সকল সেবা গ্রহণ করতে পারছেন, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণ বলেছিলেন, “বাংলাদেশের রপ্তানির বাজার ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমরা যদি উৎপাদন বাড়াতে পারি তাহলে বিনা দ্বিধায় এ আশ্বাস আপনাদের দিতে পারি যে, আমাদের আমদানি নির্ভর অর্থনীতি প্যাটার্ন খুব শিগগিরই পাল্টে যাবে এবং জিনিসপত্রের দাম কমানোও সম্ভব হবে।”

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours