গুলশানের বহুতল ওই ভবনের (১০৪ নম্বর সড়কের বাসা- ২/এ ) লাগা আগুনের কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
ভবনটিতে নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি এক্সটিংগুইশার ফায়ার হাইড্রেন্ট, ফায়ার এলার্ম সবই ছিল। পুরো ভবন সেন্ট্রাল এসির আওতায় থাকায় ধোঁয়া বেশি হয়েছে ও আগুন ছড়িয়েছে দ্রুত। আগুনের সময় ফায়ার এলার্ম বেজেছে। অনেকে মিস এলার্ম ভেবে নামেননি।
এমনটিই দাবি করেছেন ভবনটির ইঞ্জিনিয়ার ও নিউ এজ গ্রুপের এজিএম মাহফুজুল হাসান। ভবনটির ১০ ও ১১ তলায় থাকতেন নিউ এজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ ইব্রাহিমের পরিবার।
ঘটনাস্থলে মাহফুজুল হাসান বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে এলার্ম হয়েছে। যারা নিচের দিকে ছিল, তারা নেমেছে। আগুন লাগার পরে প্রত্যেকেই যদি সিঁড়ি দিয়ে বের হয়ে যেতো তাহলে সবাই নিরাপদ বের হয়ে যেতে পারতো।
অনেক সময় ভুল এলার্ম হয়। যারা বাসায় ছিল তারা মনে করেছিল ভুল এলার্ম হয়েছে। যখন তারা দেখেছে আগুন এবং নিচ থেকে বলছিল আগুন লেগেছে সবাই নেমে যান, তখন যে যতটুকু পারছে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য সব ব্যবস্থাই ছিল। ভবনে অগ্নি নির্বাপন প্রশিক্ষণের একটি টিমও ছিল, তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নিয়েছে। প্রত্যেক বাসায় সচেতন করেছে।
একটি ভবনের নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ভবনটিতে নিজস্ব ফায়ার হাইড্রেন্ট ও ডিটেকশন সিস্টেম ফাংশনাল ছিল। ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট বা ডোরও ছিল। রাজউক থেকে যেই সার্টিফিকেট দেয় ওটাও নেওয়া আছে।
+ There are no comments
Add yours