সম্প্রতি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্বেও পর্যায়ক্রমে চালু হবে বাকি স্টেশন। এদিকে ২৬ মার্চ প্রথমপর্বের সব স্টেশন চালু হলেও পূর্ণ সেবা পেতে লাগবে আরও তিন মাস।
স্বপ্নযাত্রা শুরু হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর। সীমিত পরিসরের যাত্রা দিয়ে চালু হয় দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন এমআরটি লাইন সিক্স। প্রথম দেড় মাসে এ পথেই চলাচল করেছে প্রায় সাড়ে চার লাখ যাত্রী, যা থেকে আয় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
এদিকে ধীরে ধীরে সীমিত পরিসরের খোলস ছেড়ে বাড়ছে এর পরিধিও। প্রথম দুটির পর এরই মধ্যে চালু হয়েছে পল্লবী আর উত্তরা সেন্টার স্টেশন। আগামী ১ মার্চ দুয়ার খুলবে মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনের।
আর কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৬ মার্চের মধ্যে এ পথের নটি স্টেশনই চালুর পরিকল্পনা আছে তাদের। তবে তখনও ট্রেন চলবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। সকাল থেকে মধ্যরাতের পূর্ণাঙ্গ অপারেশনে যেতে জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ছিদ্দিক বলেন, এর পরের ধাপই আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। সেখানেও জুন নাগাদ শুরু হবে পরীক্ষমূলক চলাচল।
তবে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে আগামী ডিসেম্বরে। তবে প্রাথমিক ভাবনায় আছে ফার্মগেট থেকে সরাসরি মতিঝিল পর্যন্ত। সেক্ষেত্রেও তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে চালু হবে পূর্ণ পরিসরে। অর্থাৎ আসছে বছর মাঝামাঝি উত্তরা থেকে মতিঝিল শতভাগ সার্ভিস দেবে এমআরটি লাইন সিক্স বলে জানান এম এ এন ছিদ্দিক। পাশাপাশি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ, যা ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা।
+ There are no comments
Add yours