এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর কাঠামোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের প্রতিশ্রুতি নবায়নের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২৬ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের।
আজ (০৫ মার্চ) কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিষয়ে পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি ৫: সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি) উদ্বোধনী পর্বে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্বের স্বল্পোন্নত ৪৬টি দেশ নিয়ে গঠিত জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্ল্যাটফর্ম এলডিসি। এ বছর দোহায় ‘সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যে জাতিসংঘের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এলডিসি-৫ শিরোনামে। রোববার দেশটিতে সফরের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই, কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার-কিউএনসিসিতে এলডিসি ৫ এর উদ্বোধনী পর্বে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় সকালে আয়োজিত এ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতি ও জাতিসংঘের মহাসচিব বক্তব্য রাখেন।
বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ স্বল্পোন্নত দেশই অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। এ সময় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতেও কোনো সমাধান ছাড়াই দিনের পর দিন এ জনগোষ্ঠীর বোঝা টানার ব্যথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ এখন দ্রুত বর্ধনশীল ডিজিটাল অর্থনীতির দেশ দাবি করে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ব্যাপকহারে বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে শনিবার বিকেলে কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নাগরিকরা যাতে তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে পারে সেজন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী এ সম্মেলনে যোগ দিতে দুপুরে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছান।
+ There are no comments
Add yours