আজ নারী দিবস। বাংলাদেশে দেশের সর্বত্র পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন।
নারীদের শিক্ষায় বেগম রোকেয়া যেমন ভূমিকা রেখেছিলেন ঠিক তেমনি কর্মক্ষেত্র ও রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা, সমাবেশ ও মিছিলে পুরুষদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন নারীরাও। যেখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি সেখানেই মিলছে নারীদের উপস্থিতি। চার কমিটির হিসাব অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও নারীর সংখ্যা বাড়ছে
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে উন্নয়নের জোয়ার শুরু হয়। নারীদের উন্নয়নের অংশীদার করতে সব ক্ষেত্রে তাদের প্রাধান্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের সব ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছেন তিনি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারীদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূল রাজনীতিতে তারা আরও বেশি সক্রিয় হচ্ছেন।
জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদে ৪৮ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন নারী। জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত সদস্য ২১ জন এবং সংরক্ষিত ৫০ জন নারী। এর বাইরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান ৮১ সদস্যের কমিটিতে সভাপতিসহ ২০ জন নারী সদস্য রয়েছেন। যা শতকরা ২৪.৬৯ শতাংশ। তবে, দলটির সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগসহ হিসাব করলে সেটি বাড়বে। আওয়ামী লীগের ২০০৯-২০১২ কমিটির ৭৫ সদস্যের মধ্যে নারী ছিলেন ১১ জন, যা শতকরা ১৪.৬৭ শতাংশ।
২০১২-২০১৬ কমিটির ৭৫ সদস্যের মধ্যে নারী ছিলেন ১১ জন, যা শতকরা ১৪.৬৭ শতাংশ। ২০১৬-২০১৯ কমিটির ৭৮ সদস্যের মধ্যে নারী ছিলেন ১৬ জন, যার শতকরা ২০.০৫ শতাংশ। ২০১৯-২০২২ কমিটির ৮১ সদস্যের মধ্যে নারী ছিলেন ১৫ জন, যার শতকরা ১৮.৫১ শতাংশ। চার কমিটির হিসাব অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও নারীর সংখ্যা বাড়ছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ২০২০ সালের মধ্যে সর্বস্তরে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণের যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা এখনও পূরণ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতাসীন দল থেকে শুরু করে বিরোধী দলেও একই অবস্থা
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ২০২০ সালের মধ্যে সর্বস্তরে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণের যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা এখনও পূরণ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতাসীন দল থেকে শুরু করে বিরোধী দলেও একই অবস্থা।
সব দল নারীদের কোটা পূরণ করলে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন নারীনেত্রীরা। তবে, দলীয় পদ-পদবিতে নারীদের সংখ্যা কম হলেও কর্মী বা সদস্যের দিক থেকে মোটেও কম নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকরা।
+ There are no comments
Add yours