আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চন্দনাইশ উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা সকল শহীদের প্রতি চন্দনাইশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল বিনম্র শ্রদ্ধা করেন চন্দনাইশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মাদ আলমগীর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক, মারজাদুল ইসলাম চৌধুরী আরমান।
এই সময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, মোহাম্মদ আলমগীরুল ইসলাম বলেন, বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মাঝে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু মাতৃভূমিকে মুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান।
সাধারণ সম্পাদক, মারজাদুল ইসলাম চৌধুরী আরমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরুর পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের আগ মুহূর্তে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করতে দেশবাসীকে নির্দেশ দেন।
তৎকালীন ইপিআরের ওয়্যারলেস থেকে বঙ্গবন্ধুর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় দেশের সর্বত্র। বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণায় সেদিনই ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোটা জাতি। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ।
এই সময়,চন্দনাইশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম- আহ্বায়ক, মো:মাসুদ চৌধুরী, জমির উদ্দিন সাগর, নাঈম ভূঁইয়া,সাইফুল কালাম সাব্বির,ইফতেখার আলম সজীব, আবছার ফারুবী, মো:দিদার, সাদেক, তুষার, হামিদ,মিজান,ফরহাদ,হুজ্জাদ, ইমতু সহ উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ’রা উপস্থিত ছিলেন।
+ There are no comments
Add yours