প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে নবনিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিয়েছে ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশন।
গত ১৮ মার্চ দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১০ম ব্যাচের স্বেচ্ছাসেবকদের বরণ করে সংগঠনটি।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার অ্যান্ড এক্সটেনশন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিল ভুঁইয়া। এছাড়া অ্যাল্যামনাই সদস্য হিসেবে ইউনিস্যাব-এর পথপ্রদর্শক ইজাজুল হক লিমন উপস্থিত ছিলেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন ব্যাচের অ্যাল্যামনাই সদস্যরা অনুষ্ঠানটিতে আমন্ত্রিত ছিলেন।
জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। এরপর সংগঠনটির প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে নব্যনিযুক্ত কার্যনির্বাহী সদস্যদের পরিচিতি পর্ব, আলোচনা সভা, ঘরোয়া খেলাধুলা, পুরস্কার বিতরণী ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এসময় ইউনিস্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত আয়োজিত বিভিন্ন প্রোগামসমূহের ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানটির অন্যতম আকর্ষণ ছিল অনলাইনভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘আনভেইলিং দ্য ফ্লেয়ারস ২.০”। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী নবীন স্বেচ্ছাসেবকদের গান, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কণ, উপস্থাপনা, ডিজিটাল কন্টেন্ট, ফটোগ্রাফিসহ বিভিন্ন সৃজনশীল প্রতিভার উন্মোচন ছিল প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানটিতে অতিথিরা তাদের জীবনচেতনা, আদর্শ ও অভিজ্ঞতার সংমিশ্রিত মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। যা নবীনদের অনুপ্রাণিত করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আব্দুল আলিম বলেন, আমি এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে দারুণ খুশি। ভবিষ্যতে এধরনের কাজের সাথে আমি সানন্দে থাকার চেষ্টা করবো। এভাবেই ভালো কাজের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাক এ সংগঠন। এছাড়া অ্যাল্যামনাই সদস্যদের মধ্যে ইউনিস্যাবের অন্যতম পথপ্রদর্শক ইজাজুল হক লিমন ইউনিস্যাবের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশ্য মূল্যবান মতামত পেশ করেন। ভবিষ্যতে ইউনিস্যাবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বাত্নক পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশনের বর্তমান রিজিওনাল সেক্রেটারি অনিক চন্দ্র শীল বলেন, ইউনিস্যাব শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বদ্ধপরিকর। ইউনিস্যাব স্বেচ্ছাসেবকদের কাজকে যথাযথ মূল্যায়ন করে থাকে। সর্বোপরি ইউনিস্যাবে সদস্যদের সহযোগিতায় ইউনিস্যাবকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
নাস্তা বিতরণ এবং ফটোসেশন পর্বের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
উল্লেখ্য, যুবসমাজের গঠনমূলক উন্নয়ন ও নেতৃত্বের বিকাশকে প্রতিপাদ্য রেখে ‘স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ’ এই স্লোগান নিয়ে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগ। প্রতিবছর ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগ ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এর পাশাপাশি নানা ব্যক্তিক দক্ষতার উন্নয়নমূলক সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। করোনার সময়েও ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগ অসহায়, বন্যায় কবলিত ও অর্থহীন মানুষের জন্য কাজ করে গেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন, শীতকালীন সময়ে শীত বস্ত্র বিতরণ, ঈদ ফর স্ট্রিট চিলড্রেন, প্রজেক্ট হ্যাপি বার্থডে, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রান্তিকালে বহুবিধ সহায়তা কার্যক্রম, সমাজ সংস্কারসহ বিবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম যুব সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ফারজানা খান সারথি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
+ There are no comments
Add yours