মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক’ সংবাদ প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ৫০ বিশিষ্ট নাগরিক।
শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও গবেষকসহ ৫০ বিশিষ্ট নাগরিক।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সমাজের সঠিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা গণমাধ্যমের কাজ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ জনমানসে গভীর প্রভাব বিস্তার করে বলে সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয়। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, প্রথম আলো এই নৈতিক দায়িত্ব উপেক্ষা করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।
মহান স্বাধীনতা দিবসে তারা এ দেশের স্বাধীনতাকে বিদ্রূপ করে একটি বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অন্য একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে ইতিমধ্যে জানা যায়, ওই শিশুকে উৎকোচের বিনিময়ে প্রলুব্ধ করে ছবিটি তোলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিশুটিকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে তার অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বানোয়াট ছবি ও বক্তব্যের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার এক কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে মহান স্বাধীনতাকে যেভাবে বিদ্রূপ করা হয়েছে সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আলোচ্য পত্রিকাটি গণমাধ্যমের নৈতিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে ২০০৭ সালে অনির্বাচিত সামরিক শাসনের পক্ষ নিয়ে বি-রাজনীতিকরণের পক্ষে কলম ধরেছিল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমাদের অনুরোধ, এই চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত সত্য অনুধাবন করুন এবং প্রয়োজনবোধে তুলে ধরুন।
বিবৃতি দাতা ৫০ বিশিষ্ট নাগরিক
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন (বিজ্ঞান অনুষদ) অধ্যাপক তোফায়েল আহাম্মদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক নতুন সময়ের ইমেরিটাস এডিটর নাইমুল ইসলাম খান, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মো. মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন, অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, অধ্যাপক ও ড. আবুল কাশেম, অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাশ, অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, অধ্যাপক ড. এ এ মামুন; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. নোমান; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান; ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের ঢাকা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন শিবলু; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ডা. নুজহাত চৌধুরী; সম্প্রীতির বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব, আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়; নাট্য ব্যক্তিত্ব তারানা হালিম; সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস; প্রকৃচির সদস্য সচিব ডা. এহতেশামুল হক দুলাল; প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী; বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবীর চৌধুরী; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কবির হোসেন, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ কে এম সাইদুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো. আলী আকবর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন (সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া।
+ There are no comments
Add yours