ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ২২টি বইয়ে ৪২১টি ভুল-ভ্রান্তির সত্যতা পেয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ভুলগুলো সংশোধন করে শুক্রবার এনসিটিবির ওয়েবসাইটে সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি। প্রথমে এ দুটি পাঠ্যবইয়ের কিছু অধ্যায় সংশোধন করার কথা জানানো হলেও পরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি সবকটি বইয়েরই ভুল-অসঙ্গতির সংশোধনী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
কোন বইয়ে কত সংশোধনী
সংশোধনীগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ বিষয়ে ২০১টি ভুলের সংশোধনী দিয়েছে এনসিটিবি। এর মধ্যে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে দেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি সংশোধনী ৭০টি, আর সবচেয়ে কম বাংলা বইয়ে চারটি।
আর সপ্তম শ্রেণির ১১ বিষয়ে ২২০টি ভুলের সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে সবচেয়ে বেশি ৬৫টি ভুলের সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। বাংলা বইয়ে ২০, ইংরেজিতে ১১, গণিতে ২৩, বিজ্ঞানে ৪, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২৫, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ৫, জীবন ও জীবিকায় ২৮, ইসলাম শিক্ষায় ৯ এবং হিন্দু শিক্ষা বইয়ে ১২টি সংশোধনী দিয়েছে এনসিটিবি।
এ ছাড়া ইংরেজি বইয়ে ৩৫, গণিতে ৫, বিজ্ঞানে ৭, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৩৬, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ১, জীবন ও জীবিকায় ১৫, শিল্প ও সংস্কৃতিতে ৫, ইসলাম শিক্ষায় ৭ এবং হিন্দু শিক্ষা বইয়ে ১৬টি সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। নতুন শিক্ষাবর্ষের চার মাস পার হওয়ার পর সংশোধনী প্রকাশ করে এনসিটিবি। শিক্ষকরা বলছেন, এই চার মাস এসব ভুল বই তারা পড়াতে পারেননি। এখন সংশোধিত পাঠ্যবই বাকি সময়ে শেষ করতে পারবো কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours