করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার প্রশংসা করেছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। একই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
গতকাল (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়াশিংটনের হোটেল রিজ কার্টলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পরে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা আপনাদের যে লোনটা নিয়েছি আইএমএফের, একটা ‘ব্রিদিং স্পেস’ হিসেবে।
মন্ত্রী জানান, তিনি (আইএমএফ এমডি) প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে এ ধরনের ভিশন এবং লিডারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মোমেন জানান, ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ভালো কানেকটিভিটি এবং আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, বিশেষ করে এই করোনার মধ্যেও স্থিতিশীলতা ধরে রাখার প্রশংসা করেন আইএমএফ প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যখন জেলে ছিলেন তখন বাংলাদেশকে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেই পরিকল্পনাগুলো করেছেন এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন।
এসময় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
ব্রিফিংয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে আইএমএফ সবসময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে; বাংলাদেশ কখনো এটি (পরামর্শ) থেকে বিচ্যুত হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে আইএমএফের সঙ্গে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ মাত্র ২ সপ্তাহের আলোচনায় এটি পেয়েছে, যেখানে বহু দেশ বছরের পর পর আলোচনা করেও এই ঋণ পায় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আইএমএফের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আশা প্রকাশ করেছেন ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
+ There are no comments
Add yours