
তথ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জাপান আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য সফরের অর্জনে বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। ’
আজ (৫ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে কেউ স্কুল-ইউনিভার্সিটিতে যেতে পারে না, কেউ কথাই বলতে পারে না। সেটার নিচে বাংলাদেশকে দেখিয়েছে তারা। এতেই তো প্রমাণিত হয় এ রিপোর্টটি ভুয়া।’
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবদের অনুরোধ জানাব, দেশের জন্য শেখ হাসিনা যে সাহায্য-সহযোগিতা এবং সম্মান বয়ে এনেছেন, সেজন্য চাইলে তারাও সম্মানিত বোধ করতে পারেন।’
চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রকে ঐতিহাসিক বেতার কেন্দ্র উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা যেটি ওয়ারলেসের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছিল, সেটি এ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে পাঠ করে প্রথম শুনিয়েছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ সারাদিন এটি প্রচার করা হয়।
পরবর্তীতে ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতারা যখন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন একজন সেনাবাহিনীর অফিসার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি পাঠ করা প্রয়োজন। তখন প্রথম ইপিআরের অফিসার মেজর রফিক বীর উত্তমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনি পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার হয়েছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, তিনি এমবুশ নিয়ে বসে আছেন, তিনি যদি এখান থেকে সরেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের ক্ষতি হতে পারে। পাকিস্তানিদের আক্রমণ করতে সুবিধা হবে। তাই তিনি তার এমবুশ অবস্থান থেকে সরতে চায়নি। এছাড়া তিনি জিয়াউর রহমানের খোঁজ দিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েছে, তারা জানে না বাংলাদেশে বিকৃতি ঘটালেও সারা পৃথিবীতে সত্য ইতিহাস সংরক্ষিত আছে। সেটা তো বিকৃত করা সম্ভবপর হয়নি। আমরা সেটিই সংগ্রহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। চিরদিনের জন্য এ বিতর্ক কেউ যেন আর উপস্থাপন করতে না পারে।’
+ There are no comments
Add yours