নাজমুন নাহার:
কি অপূর্ব তাইনা? পাহাড়েরও আবার এমন রং হয়! সে পাহাড়ের রংগুলো আমি ছুঁয়ে এসেছি আইসল্যান্ডে। প্রকৃতি আমাদেরকে কত সুযোগ দিয়েছে এই পৃথিবীকে দু’চোখ দিয়ে দেখার। আমার সেই অভিযাত্রার দিন গত হয়েছে, কিন্তু পৃথিবী ভ্রমণের অ্যালবামের ভাঁজে ভাঁজে জমে আছে কত স্মৃতি।
আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকিয়াভিক থেকে রওনা দিয়েছিলাম আইসল্যান্ডের ল্যান্ডমান্নালুগাড় ভলকানিক সামিট অভিযাত্রার উদ্দেশ্যে। দুপুরে যখন ক্ষুধা লেগেছিল তখন একটি পাহাড়ের কোলে বসে আমরা দুপুরের স্নাক্স খাওয়ার জন্য নেমে পড়েছিলাম। এর চারদিকে যে পর্বতগুলো ছিলো তা বিভিন্ন রংয়ের। অপূর্ব সুন্দর। দেখেই মনে হয়েছে অন্য কোন গ্রহে আছি।
প্রকৃতির লীলাভূমিতে ভরপুর আইসল্যান্ড পৃথিবীর এক আশ্চর্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ। আমি আমার অনেক ইন্টারভিউতে বারবার বলেছি আইসল্যান্ডকে কেন আমার সেরা লাগে। পুরো দেশটির রন্ধে রন্ধে রয়েছে রংবেরঙের এমন অনেক ভলকানিক পাহাড়, লাভা ক্ষেত্র, গ্লেসিয়ার, হট স্প্রিং, ওয়াটার ফলস, টেকটনিক পাহাড়, অসাধারণ ওয়াকিং ট্রেইল। যেখানেই হেঁটেছি সেখানেই মনে হয়েছে যেন কোন স্বর্গের ফেরিটেলের ভেতর দিয়ে হাঁটছি। পৃথিবীর সব দেশ থেকে এই দেশটির মধ্যে রয়েছে নানারকম প্রাকৃতিক সব আশ্চর্যজনক বিষয়।
কোথাও কোথাও পথগুলো অনেক দুর্গম ছিল, তারপরও এতই অপূর্ব ছিল সেই দুর্গম পথ যেকোনো কেউই ভালোবেসে ফেলবে। ভূতাত্ত্বিক রহস্যের অপূর্ব সুন্দর দেশ আইসল্যান্ড। আমার কেন পৃথিবী দেখার নেশা লেগেছিল? কারণ যতই আমি পৃথিবী দেখেছি ততই আমি মুগ্ধ হয়েছি প্রকৃতির এই রহস্য দেখতে দেখতে। আর আইসল্যান্ড সেতো আমার কাছে এক অপূর্ব ভূতত্ত্বের স্বর্গ।
লেখক – বাংলাদেশের পতাকাবাহী প্রথম বিশ্বজয়ী পরিব্রাজক, ১৪০ দেশ ভ্রমনকারী
+ There are no comments
Add yours