আগামীকাল শনিবার দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৬০তম কনভেনশন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এবারের কনভেনশনের স্লোগান হলো- ‘ইনোভেটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন দ্যা ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন’।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও ৫ দিনব্যাপী কনভেনশনের নানা আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্ব, শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সংবর্ধনা, ৪টি স্মৃতি বক্তৃতাসহ বিদেশি অতিথিদের সংবর্ধনা এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোন কোন বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে, এমন প্রশ্নে ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সারা বাংলাদেশের প্রকৌশলী সমাজের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিষয় তুলে ধরা হবে।
বিষয়গুলো হলো-
- ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে প্রধান প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত মর্যাদা অনুযায়ী অন্তর্ভুক্ত করা।
- প্রকৌশল সংস্থাসমূহে শীর্ষপদগুলোতে অপ্রকৌশলী ব্যক্তিদের স্থলে প্রকৌশলীদের পদায়ন করা।
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রকৌশল উইং সৃষ্টি করা।
- কারিগরি জ্ঞানহীন বা প্রকৌশল কাজে চর্চাবিহীন ব্যক্তিদের পিডি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গকে পিডি হিসেবে নিয়োগ করা।
- ‘এলজিইডি’, ‘পানি সম্পদ প্রকৌশল ‘, ‘আইসিটি’ এবং ‘টেক্সটাইল’ ক্যাডার অনুমোদন করা। টেলিকমিউনিকেশন ক্যাডারে বন্ধকৃত নিয়োগ চালু করা।
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ‘সিনিয়র সার্ভিস পুল’ অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে থেকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া।
- অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বা সমমর্যাদার পদসমূহকে ২য় গ্রেড এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বা সমমর্যাদার পদসমূহকে ৩য় গ্রেড প্রদান করা।
- বেসরকারি চাকুরিতে অবস্থানরত প্রকৌশলীদের জন্য ‘চাকরির নীতিমালা’ প্রণয়ন করা।
কনভেনশনের সমাপনী অনুষ্ঠান হবে আগামী সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশান এরশাদ।
+ There are no comments
Add yours