অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে রক্ষা পেতে শনিবার (১৩ মে) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান।
গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে থেমে থেমে রাত ১টা পর্যন্ত চলে। আজ শনিবার সকাল থেকে মোখার প্রভাবে আবারও থেমে থেমে বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া চলছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া আনোয়ারার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের ঘরগুলো সাগরতীরে। যেকোনো সময় ডুবে যেতে পারে। তাই প্রাণ বাঁচাতে আগে থেকেই চলে এসেছি। আল্লাহ জানে এই ঘূর্ণিঝড়ের পরিণতি কী হয়। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুক।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। এ সময় ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে।
সেনাবাহিনীর পক্ষে মেজর ফাহাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জরুরি মুহূর্তে আমরা ওষুধ সরবরাহ থেকে শুরু করে যাতায়াত ব্যবস্থা এবং প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো। এ সংক্রান্ত যোগাযোগ সেল খোলা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours