ফরিদপুরের মধুখালিতে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা ও সৎ ভাইকে স্কুলকক্ষে আটকে নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা রুমা বেগমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে মধুখালি থানার পুলিশ।
গতকাল (১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মধুখালি উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের মাঝকান্দি মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুমা বেগম উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের মাঝকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে বুধবার (১৭ মে) দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবদুল্লাহ বিন কালাম।
গত ১৭ মার্চ শিশুটিকে শিক্ষিকার ফরিদপুরের বাসা থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে ওই শিক্ষিকা শিশুটির বাবা ও সৎ ভাইকে আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেকে আনেন। এরপর এক নারীসহ স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সহায়তায় তাদের স্কুলের একটি কক্ষে আটকে মধ্যযুগীয় পন্থায় নির্যাতন করে। এই ভিডিওটি পরে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই স্কুলছাত্রীর সৎ ভাই রাজন মৃধা (১৫) স্কুলের একটি কক্ষের চেয়ারে বসে আছেন। সেখানে প্রথমে এক নারী তাকে নামতা বলতে বলেন। ভিডিওতে ওই নারীকে বলতে শোনা যায় আমাদের সময় আমরা নামতা পড়তাম, ‘এক অক্কে এক আমায় চেয়ে দেখ।’ এরপরই রাজনকে চেয়ার থেকে নামিয়ে কয়েকজন মিলে মোটা কাঠের লাঠি দিয়ে তাকে বেদম পেটায়। সেখানে নেতৃত্ব দেন আরেক নারী। ওই নারীকে ভিডিওতে বেশ খোশ মেজাজে দেখা যায়। এরপর ৮ থেকে দশজন ব্যক্তি মিলে রাজন ও তার বাবাকে বেদম পেটায়।
এ ঘটনায় ২০ মার্চ ওই ছাত্রীর বাবাকে দিয়ে দুটি মামলা করানো হয়। একটি মামলা বাবা ও ছেলেকে মারপিটের অভিযোগে। আরেকটি মামলা করা হয় ছেলের বিরুদ্ধে সৎ বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে। পরে সৎ বোনকে ধর্ষণের অভিযোগটি সাজানো বলে জানায় ওই শিশু (৯)। এতে কলকাঠি নেড়ে নাটক সাজান স্কুল শিক্ষিকা ইসরাত জাহান।
+ There are no comments
Add yours