রাবি ক্যাম্পাসে বাঁশির সুরে ৩৬ বছর

Estimated read time 1 min read
Ad1

৩৬ বছর ধরে এই ক্যাম্পাসেই বাঁশি বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঁশি ভর্তি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছুটে চলেন ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত। যা দিয়ে কোনো রকম খুঁড়িয়ে চলছে তার সংসার।

রাজশাহী নগরীর পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা গনেশ চন্দ্র দাস। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি। তিন ছেলেই বিবাহিত। তবে ১৫ বছর আগে চিকিৎসার অভাবে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তার একমাত্র মেয়ে।

পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে পড়াশোনা করার সুযোগ হয়নি তার। তারপরও নিজের তীব্র ইচ্ছায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি। কিন্তু অভাবের কারণে আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি গনেশ চন্দ্র। শেষে ব্যক্তি জীবনের উত্থান পতনে বাঁশি বিক্রিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।

৩৬ বছর আগে এই ক্যাম্পাসে বাঁশি বিক্রির আলাদা একটা হিড়িক ছিল। আমার ব্যবসার ছিল রমরমা অবস্থা। তখন মানুষের সঙ্গীতের প্রতি প্রবল আবেগ ও আস্থা ছিল। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে ততই মানুষের সঙ্গীতের প্রতি আবেগ-অনুভূতি কমে গিয়েছে।

বাঁশির দাম নিয়ে তিনি বলেন, বাঁশির বিভিন্ন গ্রেড আছে। সে অনুযায়ী বাঁশির দাম নিয়ে থাকি। কোনোটি ১৫০ টাকা, কোনোটি ২২০, আবার কোনোটি ৪০০ টাকা। তবে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার বাঁশিও রয়েছে। বাঁশ কিনে নিজেই এই বাঁশিগুলো তৈরি করেন বলে জানান তিনি।

আহসান মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours