খবর ডেস্কঃ
পুলিশের বহুল আলোচিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের অব্যাহতির প্রায় ৫ মাস পর ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের টেকনাফে। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারলেও তিনি ‘রোহিঙ্গা’ বলে ধারণা করছে র্যাব।
উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লাথোরঘোনার পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি থ্রি কোয়ার্টার বন্দুক ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করেছে র্যাব।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর হোয়াইক্যং ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসপি শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে পাহাড়ে অভিযানে যায় র্যাবের একটি টিম। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও গুলি চালালে মাদক তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ইয়াবা, অস্ত্র ও একজনের মরদেহ পাওয়া যায়।’
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি (অপারেশন) খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘গুলিবিদ্ধ একটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে ।’
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন-১৬) চেকপোস্টে পুলিশের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা। এ ঘটনার পর কক্সবাজার পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ থেমে যায়।
+ There are no comments
Add yours