জামালপুরে দুদকের গণশুনানী অনুষ্ঠান সফল ও স্বার্থকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় পাঁচশত লোকের উপস্থিতিতে সদর উপজেলার সেবাদানকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনানী হয়।
অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হওয়ায় কমপক্ষে ৪ জন কর্মচারি বরখাস্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ দুর্নীতি কমিশন (দুদক) এর কমিশনার মো. জহুরুল হক জামালপুর জেলা প্রশাসক কে নির্দেশ প্রদান করেন।
অভিযোগ প্রার্থীদের সরাসরি অভিযোগের কারণে বেকায়দায় মধ্যে চাপের মূখে ছিলো জামালপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস । প্রতি বছর একবার করে এধরণের জেলা পর্যায়ে একটি করে গণশুনানী হলে দুর্নীতির মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে মনে করা হলেও জনবলের সংকটে তা সম্ভব নয় বলে জানান দুদক কমিশনার।
গণশুনানীতে সদর ভূমি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস, ভূমি অধিগ্রহণ অফিস, বিআরটিএ, পাসপোর্ট, পিআইও, শিক্ষা অফিস। এছাড়া ডিসি অফিস, বাংলাদেশ পুলিশ (পিবিআই), ডিএসবি, ট্রাফিক, নির্বাচন অফিস, বিএডিসি, রেলওয়ে, সোনালী ব্যাংক, সাবরেজিস্ট্রি অফিস, জেনারেল হাসপাতাল, মাদক নিয়ন্ত্রণ, গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ, বিদ্যুৎ, জামালপুর পৌরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনানী হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অভিযোগকারীর অনুপস্থিতির কারণে অনেক কর্মকর্তাকে তেমন একটা জবাবদিহি করতে হয় নাই।
জামালপুর সদর উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এর বিরুদ্ধে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ উঠে। জামালপুর সদরের পাসপোর্ট অফিসের নামে অভিযোগ উঠে দালালদের বিরুদ্ধে। পাসপোর্ট অফিস থেকে আগত জৈনক কর্মকর্তা চ্যালেঞ্জ করে উনার বক্তব্যের মধ্যে বলেন তার অফিসে কোন প্রকার দুর্নীতি হয় না। পরে দুদকের বিজ্ঞ কমিশনার মোঃ জহুরুল হক জেলা প্রশাসক কে নির্দেশনা প্রদান করেন , ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পাসপোর্ট অফিস দালালমুক্ত করার জন্য ।
+ There are no comments
Add yours