বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যথা সম্ভব এই ডিসেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে যথা সময়ে তফসিল ঘোষণার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দলসমূহ। তাই যার যার মত করে নির্বাচনী কৌশল গ্রহণ করছে সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যারা সুষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে আসতে পারবেন তাদের একটি তালিকা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে। সেই তালিকায় চট্টগ্রামের রাউজানের বর্তমান সাংসদ ফজলে করিমসহ বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম অঙ্গীকার ছিল “গ্রাম হবে শহর”। প্রধান মন্ত্রীর এই স্লোগানকে বাস্তবায়িত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন রেলপথ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী তার বলিষ্ট নেতৃত্বে এই উপজেলায় সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার বইছে।
১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে দেশের মডেল উপজেলায় পরিণত হয়েছে। তাহার একান্তিক প্রচেষ্টায় এলজিইডির তত্ত্বাবধায়নে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট, ছোট-বড় সেতু মিলিয়ে হাজার কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তার অসংখ্য উন্নয়নের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের হাটহাজারী বাস ষ্টেশন হতে রাউজান রাবার বাগান পর্যন্ত ৬শত ২৮ কোটি ব্যয়ে চার লেইন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হয়। এছাড়া রাউজানে হাফেজ বজলুর রহমান, দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী, রাউজান নোয়াপাড়া, শহীদ জাফর, গহিরা, আধার মানিক ডিসি সড়ক সহ বহু সড়কের কাজ শেষ হওয়ায় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। অবকাঠামোগত দৃশ্যমান উন্নয়নে রয়েছে সম্প্রসারিত নতুন উপজেলা ভবন, থানা ভবন, হাইওয়ে থানা ভবন, সরকারি কারিগরি-টেকনিক্যাল কলেজ, ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, উপজেলা ভূমি অফিস, কলেজ, স্কুল, প্রশাসনিক বিদ্যালয় সহ অসংখ্য মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। রাউজানে এমন কোন গ্রাম-পাড়া-মহল্লা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। ফজলে করিমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রত্যেকটা গ্রামের জনগোষ্ঠী শহরের সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করছেন।
১৯৭৫ সাল পরবর্তী আওয়ামী লীগের হাতছাড়া এই আসন পুনরুদ্ধার করার মানসে ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে নৌকার মাঝি করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সুযোগ দেন। সেই হতে আজ অবধি তিনি রাউজানের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে দিন-রাত বিরতহীনভাবে কাজ করে উপজেলাকে সমৃদ্ধ ও নয়নাভিরাম অপরূপ সৌন্দর্যের নীলভূমিতে পরিণত করেছেন।
এক সময় সমগ্র চট্টগ্রামে রাউজান সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। ফজলে করিমের যোগ্য, দক্ষ, বলিষ্ট নেতৃত্বে আজ রাউজান একদিকে গ্রাম শহরে রূপান্তরিত হয়েছে অন্যদিকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে উঠেছে।
আওয়ামী লীগের সংগঠনকে তিনি তৃণমূলে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছেন। উপজেলা ও ১৪টি ইউনিয়নে নিজস্ব যায়গায় দলের কার্যালয় নির্মাণ করে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তাহার রয়েছে সুসংগঠিত বিশাল এক কর্মী বাহিনী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেছেন, যে সকল প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের নিকট স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্যতা এবং তৃণমূলের কর্মীদের কাছে শক্ত অবস্থান রয়েছে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সেই আলোকে স্থানীয় উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ বলেন, আমাদের সাংসদ কর্মীবান্ধব নেতা তার প্রচেষ্টায় রাউজানে সে অভাবনীয় পরিকল্পিত উন্নয়ন হয়েছে, যা সারা দেশে বিরল।
সাধারণ ভোটার এবং তৃনমূলের কর্মীদের প্রত্যাশা এলাকাজুড়ে ব্যাপক উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তার কারণে তার বিকল্প নেই। রাউজানবাসীর অভিমত, যিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন অঙ্গীকার ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়নে শতভাগ সফল হয়েছেন, তার হাত ধরে আগামীতেও স্বপ্নের স্মার্ট রাউজান বিনির্মাণ হতে পারে। এমন কর্মঠ, পরীক্ষিত নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাউজানে নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হউক।
এম আনোয়ার আজিম
+ There are no comments
Add yours