আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশে ১৯৯৪ সালের ২৭শে জুলাই ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে সহযোগী সংগঠন হিসাবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আত্মপ্রকাশ ঘটে।বর্তমান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম সংগঠনের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ছিলেন।
আন্দোলন সংগ্রাম ও দুর্যোগ মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড হিসাবে পাশে আছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। যোগ্য দক্ষ সাহসী নেতৃত্বে এই সংগঠনটি সারা দেশে মুজিব আর্দশের সৈনিকদের মাঝে ব্যাপক জয়প্রিয় হয়ে উঠে।
২০০৩ সালে পূর্ণাঙ্গ সাংগঠনিক কাঠামো রুপ দেওয়ার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নির্দেশে ২৭শে জুলাই ঢাকার ইন্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশনে জাতীয় কাউন্সিল ২০০৩” অনুষ্ঠিত হয়। কর্মি সমাবেশের মাধ্যমে ঐ সম্মেলনের পূর্বে শওকতুল আলম ও বেদারুল আলম চৌধুরী কে যথাক্রমে সভাপতি ও সেক্রেটারী করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি জেলার সাতটি উপজেলায় কমিটি গঠন পূর্বক সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করে আসছে।উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে সরব উপস্থিতি থাকত সবসময়ই এই সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মিদের।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আহমেদ কবির দুলাল বলেন,২৫শে জুলাই কার্যকরী কমিটির সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে ৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৩ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন করার লক্ষে উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।এই সম্মেলন কমিটি উৎসব মূখর ও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সম্মেলন করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির সাথে পরামর্শমুলক মতবিনিময় করেন।কিন্তু দূঃখের বিষয় আমরা শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে সম্মেলন করতে ব্যর্থ হই।বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি আবারো নতুন উদ্যামে কাজ শুরু করেন উত্তর জেলায় নতুন নেতৃত্ব উপহার দিয়ে সংগঠন কে গতিপথে আনতে।তাদের মহৎ উদ্দোগ ভেস্তে গেলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একরকম বাধ্য হয়ে সংগঠন কে শক্তিশালী করার জন্য ২০০৩ সালে গঠিত এডহক কমিটি বিলুপ্ত করেন।
বর্তমানে চট্টগ্রামের মন্ত্রী এমপি জেলা নেতাদের আগ্রহে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এই গুন্জনে শুরু থেকে বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে রাজপথে যারা ছিল তাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
তৃণমুলের কর্মিদের প্রত্যাশা যেহেতু ২০ বছর পর নতুন কমিটি হতে যাচ্ছে, সৎ, ত্যাগী কর্মিবান্ধব নেতা হিসাবে ইতিমধ্যে যারা পরিচিতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে সভাপতি ও সেক্রেটারী নির্বাচিত করা হউক।তারা আরো বলেন যেহেতু দীর্ঘদিন কমিটি নেই তাই একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে সংগঠন কে আরো শক্তিশালী ও বেগমান করে ১ মাসের মধ্যে সুন্দর সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে সভাপতি ও সেক্রেটারী হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, সভাপতি পদে আহমেদ কবির দুলাল আলী আকবর মহসিন খান সেক্রেটারী পদে মোঃ হাছান কাজী রাশেদুল ইসলাম পলাশ বড়ুয়া।
এই প্রসংগে কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা মুঠোফোনে বলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নতুন কমিটি গঠনকল্পে আমাদের কে সভাপতি ও সম্পাদক কোন রকম গাইড লাইন এখন পর্যন্ত দেন নাই।তবে আমি যতটুকু শুনেছি চট্টগ্রামের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও মাননীয় তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাথে কমিটির ব্যাপারে আমাদের সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে কথা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours