মোঃ আনোয়ার আজম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ভিত্তি প্রস্তর করে কাজ সমাপ্ত হয়েছে এমন মেগা প্রকল্পের মধ্যে ব্যয়বহুল অন্যতম একটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল।
২০১৬ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্হর করেন।২০১৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্ভোদন করেন।
মাননীয় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের শুভ উদ্ভোদন করবেন এবং প্রকল্পের পরিচালক বিভিন্ন মিড়িয়াই সাক্ষাৎ কালে বলেছেন আগামী সেপ্টেম্বর মাসে যানবাহনের জন্য ট্যানেল খুলে দেওয়া হবে।
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা বাজেটর বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের নির্মাণ কাজ করেন চায়না কমিউনিকেশন আ্যান্ড কনষ্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। ২০ বছর মেয়াদী ২℅ সুদে ঋণ হিসাবে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিয়ে সহায়তা করেছেন চীনের এক্সিম ব্যাংক। বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ ৪ হাজার ৪৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৫০ ফুট গভীরে এই ট্যানেল।যার মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩৯২ কিমি এবং প্রস্হ ১০ মিটর এর মূল ট্যানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিমি। ট্যানেলে ২টি টিউব প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিমি, এটা ২ লেনের রাস্তা বিশিষ্ট। এই ট্যানেলের রয়েছে ৪ লেনের ক্যারেজওয়ে এবং ১টি পৃথক সার্ভিস লেন।প্রতি ঘন্টায় যানবাহনের চলাচল ক্ষমতা প্রায় ৮০০০ টি,যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ঘন্টায় ৬০ কিমি।
বঙ্গবন্ধু ট্যানেল নির্মাণের ফলে ঢাকা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্হা গড়ে উঠবে,এবং এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সংযোগ স্থাপিত হবে।নদীর দুই পাড়ের সংযোগ করে দেবে।
বঙ্গবন্ধু ট্যানেলে যোগাযোগ ব্যবস্হা সুবিধাজনক হওয়ায় নদীর ওপারে দেশী-বিদেশী শিল্পীগোষ্ঠী অধীর আগ্রহে তাদের বিনিয়োগ ইতিমধ্যে শুরু করেছেন।৭৮৩ একর জমি নিয়ে আনোয়ারায় চায়না ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্টা হচ্ছে। ঐ জোনে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। ইলেকট্রিক পণ্য রপ্তানি মুখি জাহাজ শিল্প ফার্নেশ ও সিমেন্ট কারখানা সহ ৩১টি শিল্প প্রতিষ্টান স্হাপিত হবে।এ ছাড়া ও গায়া প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ও ডেইজ প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি তাদের ইউনিট স্হাপনের, কাজ শুরু করেছে।
বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আরো জানা যায়, রপ্তানিমুখি জুতা গার্মেন্টস টেক্সটাইল সহ নানা উৎপাদন মুখি শিল্প প্রতিস্টান স্হাপিত হবে। এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক তৎপরতা শুরু হলে লাখো যুবক মহিলার কর্মসংস্হান হবে।ফলে বেকারত্ব দূরীকরণ সহ দেশের ব্যাপক আত্বসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হবে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী প্রধান বন্দর ও বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। এই ট্যানেল নির্মাণে চীনের সাংহাই নগরীর আদলে চট্টগ্রাম রুপান্তরিত হল ওয়ান সিটি টু টাউন। সর্বোপরি সৃষ্টি হবে ব্যবসা-বাণিজ্য সহ নানা কর্মের সুযোগ-সুবিধা।
দেশের অর্থনীতিতে সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে যোগাযোগ ব্যবস্হায় আধুনিকতার ছোঁয়া সৃষ্টি হবে পর্যটন শিল্পে নতুন মেরুকরণ আসবে শুধু তাই নয় চট্টগ্রাম শহরে তুলনামূলক ভাবে যানজট হ্রাস পাবে।বঙ্গবন্ধু ট্যানেল শুধু চট্টগ্রামে নয় সারা দেশের অর্থনৈনিক বৈপ্লবিক সাড়া জাগাবে।
+ There are no comments
Add yours