এম হেলাল উদ্দিন নিরব (পটিয়া, চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ হরিণখাইন এলাকায় বউকে আনতে গিয়ে শশুর বাড়িতে এসে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৭) নামের এক যুবককে খুনের কাজে ব্যবহার করা ছুরি উদ্ধার করে নিহতের স্ত্রী-শাশুড়িকে আটক করে পুলিশ।
আজ( ১৯ জুলাই) রবিবার পুলিশ নিহতের স্ত্রী ও শাশুড়িকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালতে তাদের দুই জনকে কারাগারে প্রেরণ করে।
উপজেলার বিনিনিহারা গ্রামের মুন্সি মোবারক আলীর বাড়ি ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র সাইফুল ইসলাম সুমনের সাথে দক্ষিণ হরিণখাইন আলীম উদ্দীন সওদাগর বাড়ি এলাকার মোহাম্মদ ফরিদের মেয়ে হারিছার সাথে বিবাহ হয়। সৌদি প্রবাসী মো: সাইফুল ইসলাম ৬ মাস পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিদেশে চলে যেতে না পারায় সংসারের মধ্যে আর্থিক অভাব দেখা দেয়।
আর্থিক সংকটের কারনে পারিবারিক কলেহ ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল।যার পরিপ্রেক্ষিতে স্ত্রী হারিছা স্বামীকে না বলে বাপের বাড়িতে চলে আসে ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত সাইফুল ইসলাম শ্বশুর বাড়িতে যাই, সাইফুল ইসলাম যখন শাশুর বাড়িতে গেলে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে দুইজনের মধ্যে (স্বামী-স্ত্রীর) মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় তার শাশুড়ি নিহত সাইফুল ইসলামকে মারধর করে ঘরে থাকা চাকু দিয়ে আঘাত করে।
অন্যদিকে শাশুড়ির চাকুর আঘাতে সাইফুল ইসলাম সুমনের শরীরের বিভিন্ন জায়গা ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়। সাইফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার নিহতে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে।
পটিয়া থানার এস আই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রোকন উদ্দিন বলেন মো: সাইফুল ইসলামকে খুনের কাজে ব্যবহৃত চাকু টি উদ্ধার করা হয় শাশুড়ি মরিয়ম বেগমের ঘর থেকে।এরপর পুলিশ স্ত্রী-শাশুড়িকে গ্রেফতার করে।
রবিবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী ও শাশুড়িকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের দুই জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
+ There are no comments
Add yours