পাঁচ বছরের শিশু ফাতেমা খাতুন তার নানির সঙ্গেই ছিল। প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম এসে ফাতেমাকে আখ খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়।
এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নজরুল কাপড়চোপড় ভেজা অবস্থায় দুইটি আখ নিয়ে এসে জানায় ফাতেমা তার সঙ্গে যায়নি। তিনি ফাতেমার জন্য দুটি আখ নিয়ে এসেছেন।
এরপর ফাতেমার পরিবার ও এলাকাবাসী ফাতেমাকে খুঁজতে থাকে। এমন অবস্থায় বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে প্রতিবেশী ছবেদ সরদারের স্ত্রী ডলি বেগম জানান, একটি শিয়ালকে তিনি বাচ্চার পা নিয়ে মাঠের মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছেন।
এরপর শাহজাদপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সেদিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শাহজাদপুরের মার্জান গ্রামের রাজেম সরকারের ঘাসের জমি থেকে অর্ধগলিত ও ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ঘটনাটির বর্ণনা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের মার্জান গ্রামের মো. সোবাহান শেখের মেয়ে ও ফাতেমার মা মোছা. নুরজাহান বেগম (৩০) শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, আসামির কাছ থেকে ফাতেমার এক আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুলটি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
+ There are no comments
Add yours