কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের হারবাং ছড়া ব্রীজ এলাকায় ডাকাতির চেষ্টাকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের ৫ সদস্য।আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই রাজীব কুমার, এএসআই মহসিন শেখ, কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম, সুজন মিয়া ও মহসিন মিয়া।
বুধবার (২আগষ্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দেশীয় তৈরি একটি (এলজি) বন্দুক , ২টি কার্তুজ ও ১টি পালসার মোটরসাইকেল এবং ১টি কালো রংয়ের মুখোস উদ্ধার করেছে। পুলিশ দাবি করছে, নিহত ব্যক্তি একটি মাদক মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত ও আরেকটি ধর্ষণ মামলার আসামি। নিহত ব্যক্তির নাম সাজেদুল হাসান (প্রকাশ মুন্না) (৩৩)।
তিনি উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের কোরবানিয়া ঘোনা ৯নং ওয়ার্ড এলাকার মাঈন উদ্দিনের ছেলে। চকরিয়া থানা-পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে একদল পুলিশ বানিয়ারছড়া-পহরচাঁদা সড়কে টহল দিচ্ছিল। এ সময় হারবাং ছড়া সেতুতে ২টি মোটরসাইকেলে আসা ছয়জন ব্যক্তি পুলিশের টহলরত সিএনজি অটোরিকশা গতিরোধ করে।
পুলিশ সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে মোটরসাইকেল আরোহীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক কাইছার হামিদ বলেন, নিহত ব্যক্তির পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, মূলত মোটরসাইকেল আরোহীরা ডাকাত ছিল। পুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের অন্তত ১০ থেকে ১২টি গুলি বিনিময় হয়। এতে একজন ডাকাত নিহত হন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির কোনো মামলা নেই। নিহত ডাকাত একটি মাদক মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত ও একটি ধর্ষণ মামলার আসামি।
এম.এস.এ সোহেল আরমান,চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
+ There are no comments
Add yours